চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন

সংঘর্ষের পর বিএনপির এক কর্মীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ বিএনপির ২০ নেতা–কর্মীকে আটক করেছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ–সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।

আরও পড়ুন
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশকে লক্ষ করে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচজন দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেলে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে যখন বিএনপির বিক্ষোভ–সমাবেশ চলছিল, তখন সেখানে যাওয়ার জন্য যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মিছিল আসে কাজীর দেউড়ি মোড়ে। সেখানে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা মিছিলটি থামিয়ে দেন। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করেন।

এ সময় পুলিশ পিছু হটে শিশুপার্কের দিকে চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় বিএনপি নেতা–কর্মীরা এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা রাস্তায় থাকা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের মোটরসাইকেলে আগুন দেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

ঘটনার পর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দেখা যায়, পুলিশ অবস্থান করছে। দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে আছেন বেশ কিছু নেতা–কর্মী।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের ওপর বিএনপি নেতা–কর্মীরা অকারণে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। তাঁরা পুলিশের গাড়িতে আগুন দেন। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। আটক করা হয়েছে বিএনপির ২০ নেতা–কর্মীকে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ওপর তাঁদের কেউ হামলা করেননি। পুলিশই তাঁদের নেতা–কর্মীদের ধাওয়া দিয়েছে। ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। আহত হয়েছেন তাঁদের ২০ নেতা–কর্মী। আহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।