চাঁদাবাজি বন্ধ ও লক্কড়ঝক্কড় বাস বদলানোর আশ্বাস

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সমিতির নেতারা। ইস্কাটন, ঢাকা, ২৪ আগস্টছবি: বিজ্ঞপ্তি

চাঁদাবাজি বন্ধ ও যাত্রীবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা চালুর আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। তাঁরা দাবি করেছেন, ঢাকার লক্কড়ঝক্কড় বাসের বদলে আধুনিক গণপরিবহন নামাতে তৎপর হবেন।

আজ শনিবার রাজধানী ঢাকার ইস্কাটনে সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশ্বাস দেন মালিক সমিতির নেতারা।

প্রায় সাড়ে ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতারা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণ করতেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লে মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপিপন্থীরা। এরপর আজই প্রথম তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করলেন।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক সাইফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে যাঁরা পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রণ করতেন, তাঁরা দেশ ছেড়েছেন কিংবা আত্মগোপনে আছেন। পরিবহনমালিকদের ব্যবসা সংরক্ষণ ও যাত্রীদের স্বার্থে তাঁরা তলবি সভা ডেকে ১৪ আগস্ট দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁরা ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি করেছেন। পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।

অতীতেও চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়ে আশ্বাস পাওয়া যায়, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। এই কমিটি কীভাবে চাঁদাবাজিমুক্ত করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুল আলম বলেন, সমিতি পরিচালনার জন্য ন্যূনতম যে খরচ দরকার, সেটা তোলা হবে। তবে যত্রতত্র চাঁদাবাজি কিংবা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক নেতার জন্য যাতে চাঁদা না তোলা হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে। এটা তাঁদের অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকারের ব্যত্যয় হলে গণমাধ্যমের কাছে জবাবদিহি করতে প্রস্তুত তাঁরা।

রাজধানীর লক্কড়ঝক্কড় বাস সম্পর্কে জানতে চাইলে সাইফুল আলম বলেন, নতুন কমিটির প্রথম বৈঠকেই যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও পাল্লা দিয়ে বাস চালানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। রাস্তায় এলোমেলো বাস দাঁড় করিয়ে রাখলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

লিখিত বক্তব্যে সাইফুল আলম দাবি করেন, পত্র-পত্রিকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জড়িয়ে পরিবহন খাতের খবর ছাপানো হচ্ছে। সড়ক পরিবহন সমিতির উপদেষ্টা হবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে ২০০১ সালে মির্জা আব্বাস সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। তবে তিনি একজন পরিবহন ব্যবসায়ী। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরদিনই মির্জা আব্বাসের বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়, কিছু বাস গায়েব করে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এম এ বাতেন, খন্দকার রফিকুল হোসেন, এ এস এম আহমেদ প্রমুখ।