তারেক সিদ্দিকীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতফাইল ছবি: প্রথম আলো

ছয় বছর আগে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বাসা থেকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর তৎকালীন প্রধান কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী নিজেই।

ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বাদীর অভিযোগ এজাহার আকারে রেকর্ড করার জন্য নিউমার্কেট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদীন, র‍্যাবের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, ডিবির সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. আবদুল বাতেন, মো. মোখলেসুর রহমান, ডিবির সাবেক এডিসি গোলাম মোস্তফা রাসেল, গোলাম সাকলাইন, ডিবির সাবেক এসি মাহমুদ নাসের জনি, ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আবু আজিফ ও সিরাজুল ইসলাম খান।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে দিকে পিলখানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনী কর্মকর্তা হিসেবে মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিবাদ করেছিলেন। পরে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে তাঁর ওপর চাপ তৈরি করেন মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদীন। এরপর তিনি চাকরি থেকে অবসরে যান। ২০১৬ সালে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদার জিয়ার প্রধান নিরাপত্তা রক্ষাকারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। এ খবর জানতে পেরে প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তা তারেক আহমেদ সিদ্দিক ও মো. সাইফুল আবেদীন তাঁকে খালেদা জিয়ার প্রধান নিরাপত্তা রক্ষাকারী কর্মকর্তার পদ থেকে সরে যেতে চাপ দেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।

মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়। এরপর ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে তাঁকে গোয়েন্দা পরিচয়ে তুলে নিয়ে গুম করা হয়। এ ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী নিউমার্কেট থানায় মামলা করতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি। পরে খালেদা জিয়ার প্রধান নিরাপত্তা রক্ষাকারী কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী। এ ছাড়া গুমের বিষয়ে কোনো প্রতিকার নেবেন না বলে ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়। এরপর গুম হওয়ার দুদিন পর তাঁকে শাহবাগ থানার আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর ২৫ দিন তিনি কারাভোগ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।