গাইবান্ধায় সুষ্ঠু ভোট হয়েছে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা–৫ আসনের (সাঘাটা-ফুলছড়ি) উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব বিবেচনায় নির্বাচনটা সফল হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ধীরগতি ছিল না, কোনো অভিযোগও উত্থাপিত হয়নি।
আজ বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা–৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। এই নির্বাচনে সব কটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। ঢাকায় বসে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইসি।
গত ১২ অক্টোবর এ আসনে উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম দেখে মাঝপথে ভোট বন্ধ করে দিয়েছিল ইসি। পরে তদন্ত করে ১৩৪ জন নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। আজ আবার সেই উপনির্বাচনে নতুন করে ভোট গ্রহণ করা হয়।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণে ধীরগতি দেখা গিয়েছিল। গাইবান্ধায় কেমন অভিজ্ঞতা হলো—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইভিএমে ধীরগতি ছিল না, কোনো অভিযোগও উত্থাপিত হয়নি। ভোট গ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে বা আঙুলের ছাপ মিলছে না, এমন কোনো অভিযোগ ইসি পায়নি। ভোট সাড়ে চারটায় শেষ হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি গড়ে ৩৫ শতাংশের কমবেশি হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার একটি কারণ হতে পারে।
সিইসি বলেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ইসির কর্মকর্তারা পেশাদারত্ব দেখিয়েছেন, নিরপেক্ষভাবে কাজ করে দেখিয়েছেন। এখানে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা জাতীয় সংসদের নির্বাচনে সমৃদ্ধ করবে। সিসি ক্যামেরা একটা নতুন সংযোজন। এটি অনেক তীক্ষ্ণ ও কার্যকর হচ্ছে। কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে আগের চেয়ে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার ইতিবাচক। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা রাখা হবে কি না, ইসি এখনো সে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
১২ অক্টোবরের ভোটে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি কার্যকর হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইসির তরফ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সে বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার জবাব এখনো ইসি পায়নি। এ জন্য দু–তিন মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে। এখনো কোনো উত্তর পাইনি। ফলোআপ করব আমরা। চিঠি পেতেই সময় লাগে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ধীরগতির বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ইসি। আগামী বুধবার এ–সংক্রান্ত একটি সভা হবে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের (সাঘাটা-ফুলছড়ি) উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পাঁচ প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান (রিপন), জাতীয় পার্টির (জাপা) গোলাম শহীদ, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র নাহিদুজ্জামান ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।