আহমদিয়া সম্প্রদায়ের স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর
দেশের কয়েকটি স্থানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের মসজিদ ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার এসব হামলা হয়। এতে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহমদিয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের বহিঃসম্পর্ক বিষয়ক জনসংযোগ ও মিডিয়া সম্পাদক আহমদ তবশির চৌধুরী এসব কথা জানিয়েছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আহমদিয়া জামাত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যাঁরা দীর্ঘদিন থেকে আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করে এসেছেন এবং বিভিন্ন আক্রমণ করেছেন; এখনো তাঁরাই হামলা করেছেন।’
আহমদ তবশির চৌধুরী জানান, গতকাল পঞ্চগড় সদর উপজেলায় অবস্থিত আহমদনগরে আহমদিয়া মসজিদ, জামিয়া (ধর্মতাত্ত্বিক বিদ্যালয়) ও জলসা গাহে (বার্ষিক সম্মেলনের মাঠ) হামলা হয়েছে। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ৭০টি বাড়ি আক্রমণের শিকার হয়েছে। এসব ঘটনায় জামিয়ার ছাত্রসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পঞ্চগড় ছাড়াও রংপুরের তারাগঞ্জে একটি আহমদিয়া মসজিদে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকার মাদারটেক এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে একদল মাদ্রাসাছাত্র হামলা চালিয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজনের প্রতিরোধে তারা খুব একটা ক্ষতি করতে পারেনি।
এদিকে আজ মঙ্গলবার নীলফামারী জেলার চড়াইখোলা ইউনিয়ন, রাজশাহীর বামনাইল ও শেরপুরের রাংটিয়াতে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে হামলা হয়েছে বলে জানান আহমদ তবশির চৌধুরী।
আহমদ তবশির চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা বেশ শঙ্কার মধ্যে রয়েছি। আশঙ্কায় রয়েছি যে আরও বিভিন্ন জায়গায় হামলা হতে পারে। এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাই।’