‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে করা ‘মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি ২৩ বিশিষ্টজনের
দর্শকনন্দিত ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের পরিচালকের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে করা ‘মামলা’ প্রত্যাহার ও শিল্পীর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ২৩ বিশিষ্টজন। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তাঁরা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিল্পীদের কতিপয় দাবির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। যেহেতু দাবিগুলো যুক্তিযুক্ত, আমরা তাঁদের এসব দাবির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি।’
‘হাওয়া’ সিনেমায় একটি পাখি খাঁচায় আটকে রাখার দৃশ্যায়ন করার অভিযোগে সিনেমাটির পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করে বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। ১৭ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ আবেদন করেন বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, হাওয়া সিনেমার বিরুদ্ধে করার মামলার আবেদনটি বিচারকের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আজ বিশিষ্টজনদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাস্তব আর শিল্পের মধ্যে যে ব্যবধান আছে, তা যদি আমরা বুঝতে না পারি, শিল্পীর স্বাধীনতা যদি আমরা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হই, তবে সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে যে ‘‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা’’ দেওয়া হয়েছে, তার অবমাননা করা হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সব নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। নিয়ন্ত্রণের কাঁটাতারে কোনো শিল্প সৃষ্টিকে আবদ্ধ করে রাখা যাবে না।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সুলতানা কামাল, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, রাশেদা কে চৌধূরী, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, নুর মোহাম্মদ তালুকদার, খুশী কবির, রানা দাশ গুপ্ত, এম এম আকাশ, ডা. ফওজিয়া মোসলেম, এস এম এ সবুর, রোবায়েত ফেরদৌস, ডা. লেনিন চৌধুরী, পারভেজ হাসেম, সালেহ আহমেদ, আবদুল ওয়াহেদ, দীপায়ন খীসা প্রমুখ।