২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে: আইইএ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট জ্বালানিসংকট পরিবেশবান্ধব জ্বালানির প্রসার বাড়াতে পারে বলে মনে করছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। সংস্থাটি বলছে, তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। তাই বিভিন্ন দেশ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। এই বিনিয়োগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে এগিয়ে নেবে।

আইইএ প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড এনার্জি আউটলুক-২০২২’ প্রতিবেদনে এসব সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যে জ্বালানি নীতি ও সহযোগিতা বিনিময়ের স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা আইইএ। প্যারিসভিত্তিক এই সংস্থার সদস্য ৩১টি দেশ। সংস্থাটিতে আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কিছু দেশ থাকলেও রাশিয়া নেই। ভারত ও চীন আইইএর সহযোগী সদস্য।

জ্বালানিসংক্রান্ত অর্থনীতিবিদ ও আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেন, চলমান জ্বালানিসংকট পরিবেশবান্ধব জ্বালানির রূপান্তর গতিশীল করছে। আইইএর প্রতিবেদনে এ–ও বলা হয়েছে, কোনো কোনো দেশ জ্বালানি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ভয়ে তেল ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের দিকে যাচ্ছে। এতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গও এসেছে আইইএর প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গ্যাস–সংকট দেখা দিয়েছে। এসব দেশগুলোকে আমদানি করা গ্যাসের ওপর নির্ভর করতে হয়। ইউরোপে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি দামে গ্যাস আমদানি করা এই দেশগুলোর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এসব দেশের গ্যাস আমদানি অনেক বেড়ে যাবে।

আইইএর প্রতিবেদন বলছে, নতুন পরিকল্পনা অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বছরে দুই ট্রিলিয়ন ডলার হতে পারে। তবে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে ২০৩০ সালে এ বিনিয়োগ চার ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে।