দেশে ফেরার পরদিন প্রবাসী দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন আলমগীর আলম (৪০) ও মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৪৫)। তাঁরা ওই এলাকার বাসিন্দা। দুজনই সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী। গতকাল সোমবার তাঁরা দেশে আসেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত দুজনের বড় ভাই মুহাম্মদ করিমের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী নিগার সুলতানার দাম্পত্য কলহ চলছিল। স্ত্রী স্বামীর ঘরে থাকলেও করিম উপজেলা সদরে সন্তানদের নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। আজ রাত আটটার দিকে করিম তাঁর চার ভাইয়ের সঙ্গে ঘরে যান। পরে রামদা নিয়ে স্ত্রীর মাথায় ও শরীরে জখম করেন।
স্ত্রীকে জখমের এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে বাধা দিলে তাঁদের ওপরও হামলা করেন মুহাম্মদ করিম ও তাঁর ভাইয়েরা। এ সময় স্থানীয় পাঁচ–ছয়জন বাসিন্দা জখম হন। এতে প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে করিম ও তাঁর ভাইদের ধাওয়া দিয়ে পিটুনি দেন। ঘটনাস্থলেই আলমগীর আলম ও মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়। রাত ৯টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের লাশ ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ঘটনাস্থল থেকে রাত ৯টায় জাফতনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, করিমের স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের বিষয়ে সালিসও হয়েছিল। তবে সমাধান হয়নি। এর মধ্যেই করিম তাঁর চার ভাইকে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে মারধরের সময় প্রতিবেশীরা বাধা দিয়েছেন। এ সময় প্রতিবেশীদের ওপর হামলা করা হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতার পিটুনিতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
জিয়া উদ্দিন আরও বলেন, ঘটনাস্থলে লাশ পড়ে রয়েছে। তবে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার পরিদর্শক আবু জাফর প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় দুজনের মৃত্যু এবং পাঁচ–ছয়জন আহত হওয়ার বিষয়ে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’