নামজারিপ্রক্রিয়া বাতিলের তথ্য গুজব: ভূমি মন্ত্রণালয়
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নামজারিপ্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে বলে যে কথা রটেছে, তাকে গুজব বলেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি নামজারিপ্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে মর্মে বিভিন্ন তথ্য কিংবা ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার দিচ্ছেন। এতে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান ভূমি ব্যবস্থাপনায় নামজারিপ্রক্রিয়া বাতিলের কোনো সুযোগ নেই।’
ভূমি মন্ত্রণালয় বলেছে, সরকার জনগণের সুবিধার্থে ও ভোগান্তি কমাতে নামজারিপ্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জমি ক্রয় কিংবা অন্য কোনোভাবে মালিকানা পরিবর্তন-পরবর্তী ভূমি নিবন্ধনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে ‘রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তসংযোগ’-এর মাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৯ মার্চ রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তসংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় নামজারিপ্রক্রিয়া কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে দেশের ১৭টি উপজেলায় এই কার্যক্রম চলমান। শিগগিরই দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা হবে রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তসংযোগ।
নামজারি বা মিউটেশন হচ্ছে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে মালিকানা পরিবর্তন করা। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো বৈধ পন্থায় ভূমি/জমির মালিকানা অর্জন করার পর তা নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) করে সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে তার নামে রেকর্ড আপটুডেট (হালনাগাদ) করাকেই নামজারি বলা হয়।
কোনো ব্যক্তির নামজারি সম্পন্ন হলে তাকে একটি খতিয়ান দেওয়া হয়, যেখানে তার অর্জিত জমির একখানি সংক্ষিপ্ত হিসাব বিবরণী উল্লেখ থাকে। দুটি জরিপ কার্যক্রমের মধ্যবর্তী সময়ে রেকর্ড সংশোধন করা হয় নামজারির মাধ্যমে। জমির মালিকানা প্রমাণের অন্যতম প্রধান শর্ত সরকারি রেকর্ডে/খতিয়ানে নাম থাকা।