কোনো আইনজীবীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এলে তাঁর কাজ করা কঠিন হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
কোনো আইনজীবীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এলে তাঁর পেশা পরিচালনা করা কঠিন হবে বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে অবস্থিত ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক এক আলোচনায় অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এই আলোচনার আয়োজন করে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কোনো আইনজীবীর বিরুদ্ধে যদি এই (যৌন হয়রানি) অভিযোগ আসে, তিনি পেশায় টিকে থাকতে পারবেন না। কারণ, তাঁকে কেউ বিশ্বাস করবেন না, মানুষের কাছে হেয় হতে হবে। ফলে তাঁর জন্য কাজ (আইন পেশা পরিচালনা) করা দুরূহ হবে।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নীতিমালার আলোকে যৌন হয়রানি–সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, অনুসন্ধান ও সুপারিশের জন্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি কমিটি গঠন করেছে। সমিতির তৎকালীন কার্যনির্বাহী কমিটি গত ৩১ মার্চ আইনজীবী জেসমিন সুলতানাকে সভাপতি করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটি গঠন করে।
এর আগে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট ওই রায় দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ে কোনো আইন নেই। হাইকোর্টের বিভাগ রায় দিয়েছেন, সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এটিই আইন। আইন না হওয়া পর্যন্ত ওই নীতিমালা মেনে চলতে হবে রায়ে বলা হয়েছে। তাই রায়ের নীতিমালা মেনে চলা সবার জন্য আবশ্যক। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ এসেনি। যদি ভবিষ্যতে আসে, তা কমিটি (যৌন হয়রানি প্রতিরোধ) দেখবে।
আইনজীবী জেসমিন সুলতানার সঞ্চালনায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাবেক সম্পাদক মো. আবদুন নূর এবং আইনজীবী রেহানা সুলতানা প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।