আজ ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়া অপরাধ নয়, এটা সাংবিধানিক অধিকার।
১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালে দিনটিকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ঘোষণা করে জাতিসংঘ। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’।
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর।
দেশে মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গতকাল শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানায় আসক। এর মধ্যে দেশে সুস্থ রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পরিবেশ তৈরি, নাগরিকের সমবেত হওয়ার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার যথাযথভাবে চর্চা করার পরিবেশ তৈরি অন্যতম। এ ছাড়া সব বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন এবং গণমাধ্যম ও নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনের দাবি জানানো হয়।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিরুদ্ধ মত দমনে গায়েবি মামলা দায়ের, বাড়িঘরে তল্লাশি, গ্রেপ্তার, সভা-সমাবেশে যেতে বাধা দেওয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। সরকারকে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এমএসএফ।