কোটা আন্দোলন: আহত আরও একজনের মৃত্যু

কোটা আন্দোলনের প্রথম দিকে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরোধ চরমে ওঠে একটা স্পর্শকাতর শব্দ ‘রাজাকার’কে কেন্দ্র করেফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মো. ইমন (১৭) নামের এই কিশোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষ-সংঘাতের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১৩ জন। ওই সময়ই আহত হয়েছিলেন ইমন। আজ তাঁর মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়াল ২১৪ জন। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার আন্দোলন ঘিরে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২১৬ জনের।

আরও পড়ুন

ইমনের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, গত ১৯ জুলাই সকালে ভাটারার বাসা থেকে বেরিয়ে গুলশানে যাওয়ার পথে নতুনবাজার এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয় ইমন। সে গুলশানের ফুটপাতে একটি খাবারের দোকানে কাজ করত। তার পেটের ডান পাশে গুলি লাগে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ শনিবার ভোরে সে মারা যায়।

ইমনের বোন তাহমিনা বেগম বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। একমাত্র ভাই ইমন তাঁর (তাহমিনা) বাসাতেই থাকত। ১৯ জুলাই কাজে যাওয়ার পথে ইমন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিটি ইমনের পেটের এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ইমনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুন