জনবান্ধব প্রশাসন গড়তে আন্তক্যাডার বৈষম্য দূর করার দাবি

জনবান্ধব প্রশাসন গড়তে আন্তক্যাডার বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস (কৃষি) অফিসার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, প্রশাসনিক ক্যাডার ক্ষমতা অপব্যবহার করে রাষ্ট্রকে ভুল পথে পরিচালিত করায় স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জনগণের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি এবং কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিস কনফারেন্স কক্ষে এক প্রতিবাদ সভায় এ কথা বলেন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি (বিসিএস) কর্মকর্তারা। পরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা বলেন, বৈষম্যহীন ও মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসনের মাধ্যমেই প্রকৃত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব। বাংলাদেশের ২৬ ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে ২৫টি ক্যাডার কর্মকর্তাদের আলাদা রেখে অনৈতিকভাবে পদবহির্ভূত পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

প্রতিবাদ সভায় বলা হয়, তাঁদের (প্রশাসন ক্যাডার) কূটকৌশলের কারণে অন্যান্য ক্যাডার সদস্যদের শুধু পদোন্নতি বঞ্চিতই করা হয়নি; বরং সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে মাঠপর্যায়ে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বক্তারা জানান, ১৯৮০ সালের সচিবালয় ক্যাডার বাতিল করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদের অতিরিক্ত সংখ্যক পদোন্নতি নিচ্ছেন।

বক্তারা আরও বলেন, বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের বঞ্চনার শিকার কর্মকর্তাদের তালিকা কৃষি মন্ত্রণালয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে এটি অগ্রগামী করা হচ্ছে না। অথচ প্রশাসন ক্যাডারের সাত শতাধিক কর্মকর্তার তালিকা তৈরি করে ভূতাপেক্ষভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও বৈষম্য বাড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হাসানুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় ২৬ জন সাবেক কর্মকর্তা বক্তব্য দেন। প্রতিবাদ সভা সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কৃষিবিদ আহমেদ আলী চৌধুরী।

আরও পড়ুন

সভায় আরও বক্তব্য দেন মহাম্মদ মাইদুর রহমান, মোসলেহ উদ্দিন, সালেকুর রহমান, মো. আসাদুল্লাহ, মো. ইব্রাহিম খলিল, শহীদুল ইসলাম, বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সাহিনুল ইসলাম, ডিএইর মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব মো. রেজাউল ইসলাম, মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।

প্রতিবাদ সভা থেকে বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো বৈষম্যহীন জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস গঠন, উপসচিব পদে সব কোটার অবসান করে মেধার ভিত্তিতে সব ক্যাডার থেকে নিয়োগ এবং পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি এবং বৈষম্যের শিকার সব ক্যাডার কর্মকর্তাদের ন্যায্য হিস্‌সা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ।

আরও পড়ুন