কেমন আছেন?
মো. হোসেন: শরীরটা ভালো নেই, গা ব্যথা।
ইঁদুর মারতে যেতে পারছেন না নিশ্চয়ই?
মো. হোসেন: কয়েক দিন ধরে যাই না।
কখন ইঁদুর মারেন, দিনে না রাতে?
মো. হোসেন: রাতেই বেশি।
কী দিয়ে ইঁদুর মারেন?
মো. হোসেন: বাঁশের খাঁচার ফাঁদ তৈরি করি। ফাঁদে শুঁটকি ও আটার রুটি দিই।
বয়স কত হলো?
মো. হোসেন: আশি ছাড়িয়েছে।
কত বছর বয়স থেকে ইঁদুর মারেন।
মো. হোসেন: ২০ বছর হবে।
কী মনে করে ইঁদুর মারা শুরু করেছেন?
মো. হোসেন: ইঁদুর ফসল ও কৃষকের প্রধান শত্রু। এ কারণেই ইঁদুর মারা শুরু করি।
ফেনীর বাইরে অন্য কোথাও যান?
মো. হোসেন: না, নিজের এলাকাতেই থাকি।
ইঁদুরের উৎপাত তো কমার কথা।
মো. হোসেন: কমেছে তো। কিন্তু ইঁদুর বাড়তে তো সময় লাগে না।
মানুষ কী বলে?
মো. হোসেন: কেউ ভালো বলে, কেউ টিটকারি মারে। লোকে কী বলে, তা শোনার সময় নেই।
কেউ ইঁদুরের উৎপাত বাড়লে আপনাকে ডাকে?
মো. হোসেন: ডাকে তো। আমি গিয়ে ফাঁদ পেতে ইঁদুর মেরে দিই।
পারিশ্রমিক দেয়?
মো. হোসেন: আমি টাকা নিই না।
ইঁদুর মেরে কী করেন?
মো. হোসেন: লেজগুলো রেখে দিই। সেগুলো জমা দিতে হয়।
সন্তান কয়জন?
মো. হোসেন: দুই ছেলে, দুই মেয়ে। ছেলেরা বিদেশে থাকে। মেয়েরা শ্বশুরবাড়িতে।
ছেলেমেয়েরা ইঁদুর মারা নিয়ে কী বলে? নিষেধ করে?
মো. হোসেন: না, নিষেধ করে না। ইঁদুর মারলে মানুষের উপকার হয়।
ইঁদুর মারা অন্যদের শেখান?
মো. হোসেন: শেখাই। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপজেলা, জেলা প্রশাসন থেকে ডাকা হয়।
যাতায়াতের খরচ?
মো. হোসেন: প্রশাসন থেকেই দেয়।
আর কত দিন ইঁদুর মারবেন?
মো. হোসেন: যত দিন পারি, যত দিন শরীরে কুলায়।