ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসবের রং
গায়ে বাসন্তীরঙা পোশাক, হাত ও চুলের খোঁপায় রঙিন ফুল—এমন সাজে ঘুরছেন তরুণীরা। তাঁদের সঙ্গে থাকা তরুণদের গায়েও লাল, হলুদ রঙের পাঞ্জাবি। এই চিত্র আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের। ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের প্রথম দিন পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে এমন হাজারো তরুণ-তরুণী সমবেত হয়েছেন সেখানে। কেউ জুটি বেঁধে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউ ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছেন। কেউ আবার অমর একুশে বইমেলা ঘুরে বাসায় ফেরার আগে ক্যাম্পাসে ঢুঁ মারছেন।
দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকে যুগল, অনেকে আবার এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে মধ্যবয়স্ক অনেকেও এসেছেন। কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়েও ক্যাম্পাসে এসেছেন। জমজমাট এই পরিবেশে ব্যবসা করে নিতে ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে হরেক পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। টিএসসির চায়ের দোকানগুলোতেও জমেছে ভিড়।
ঢাকার উত্তরার আজমপুর থেকে মেট্রোরেলে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছেন এক যুগল। দুজনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তাঁদের একজন গোলাম রাব্বী প্রথম আলোকে বললেন, আগে উত্তরা থেকে ঢাকার এই দিকটাতে যাতায়াতে অনেক সময় লাগত। এখন মেট্রোরেল থাকায় তা অনেক সহজ হয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো পয়লা ফাল্গুনে এখানে ঘুরতে এসেছেন। এসে ভালোই লাগছে।
ঢাকার পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে স্বামীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী শম্পা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আজ একসঙ্গে অনেকগুলো বিশেষ দিন। একদিকে পয়লা ফাল্গুন, সরস্বতীপূজা ও ভালোবাসা দিবস; অন্যদিকে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একুশে বইমেলা চলছে। ক্যাম্পাসে থাকাকালে এমন দিনগুলো আমাদের বিশেষ আনন্দের উপলক্ষ ছিল। তাই অনেক ভিড় হবে জেনেও ক্যাম্পাসে আসা।’
ধানমন্ডির শংকর থেকে সপরিবার ঘুরতে আসা আসাদুল্লাহ আসাদ বললেন, ভালোবাসা দিবসে ক্যাম্পাসের আমেজটাই অন্য রকম থাকে। সেই আমেজ অনুভব করতে এসেছেন।