পাবলিক বিশ্বদ্যালয়
নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে স্বাধীন কমিশন গঠন কেন নয়: হাইকোর্ট
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে স্বাধীন নিয়োগ কমিশন কেন গঠন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা খাতে দুর্নীতি দমনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সময়ে সময়ে দেওয়া প্রতিবেদন ও সুপারিশ বাস্তবায়নে ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার এ রুল দেন।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে নানা অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক লেনদেন ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নূরুল হুদা ৩ জুন রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মনজুর নাহিদ ও আনিচুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী অনীক আর হক প্রথম আলোকে বলেন, ইউজিসি সরকারের কাছে প্রতিবছর প্রতিবেদন জমা দেয়, বিভিন্ন সুপারিশও করে থাকে। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকে। ইউজিসির আইন অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তা পালন করা দায়িত্ব। কিন্তু সেগুলো পালন করতে দেখা যায় না। ফলে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ কারণে রিটটি করা হলে হাইকোর্ট ওই রুল দেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, ইউজিসি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করা রিট আবেদনকারী মো. নূরুল হুদা গত ১৪ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া স্বর্ণপদক ও ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন।