দণ্ডিত হাজি সেলিমের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছরের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে হাজি সেলিমের কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ।
১০ বছরের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৪ মে লিভ টু আপিলের পাশাপাশি জামিন চেয়ে আবেদন করেন হাজি সেলিম।
লিভ টু আপিল ও জামিন আবেদন গত ৬ জুন চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত হাজি সেলিমের আবেদন শুনানির জন্য ১ আগস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় লিভ টু আপিল ও জামিন আবেদনের ওপর আজ আপিল বিভাগে শুনানি হয়।
আদালতে আজ হাজি সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। হাজি সেলিমের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকিরও শুনানিতে ছিলেন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ১০ বছরের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাজি সেলিমের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ে তিন বছরের সাজা থেকে হাজি সেলিমকে খালাস দেওয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি লিভ টু আপিলও এর সঙ্গে যুক্ত (ট্যাগ) করা হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ে তিন বছরের সাজা থেকে হাজি সেলিমকে খালাস দেওয়ার বিরুদ্ধে গত ১০ মে দুদক এই লিভ টু আপিল করে।
দুদকের করা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাজি সেলিম হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন। এই আপিলের ওপর গত বছরের ৯ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাঁর ১০ বছরের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। আর সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের সাজা থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজি সেলিমকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
হাইকোর্টের রায় অনুসারে গত ২২ মে হাজি সেলিম বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তিনি জামিনের আবেদন জানান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে হাজি সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তিনি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করার পাশাপাশি জামিন চেয়ে আবেদন করেন।