প্রস্তাবিত এনসিকিউজি তহবিল প্রত্যাখ্যানের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

স্বল্পোন্নত দেশ ও ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জন্য বরাদ্দ বাড়াতে অধিকারকর্মীদের বিক্ষোভ। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯-এ, ২২ নভেম্বর ২০২৪ছবি : রয়টার্স

জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৯) শেষ পর্যায়ে প্রকাশিত নতুন যৌথ পরিমাণগত লক্ষ্য (এনসিকিউজি) বিষয়ক সর্বশেষ খসড়া প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। কারণ, এ তহবিল অপ্রতুল।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান। এতে বলা হয়, কপ২৯-এর শেষ পর্যায়ে প্রকাশিত নতুন যৌথ পরিমাণগত লক্ষ্য (এনসিকিউজি) বিষয়ক সর্বশেষ খসড়া নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে হতাশ। এ খসড়া স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ও ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর (সিডস) জরুরি চাহিদা পূরণে ব্যর্থ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বছরে ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব আশ্চর্যজনকভাবে অপ্রতুল।

পরিবেশ উপদেষ্টার অভিযোগ, এই বরাদ্দকে অনুদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থার আওতায়ও নেই। এ ছাড়া সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৪৫টি এলডিসির জন্য কোনো বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হয়নি।

এই অবস্থায় এলডিসি দেশগুলোকে এনসিকিউজির তহবিল প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যথাযথ সংশোধন ছাড়া এ প্যাকেজ বাস্তবে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমাদের আরও উচ্চাভিলাষী, ন্যায়সংগত এবং কার্যকর জলবায়ু অর্থায়ন কাঠামোর জন্য কাজ করতে হবে, যা বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেবে।’

শেষ হতে চলা কপ২৯-এ জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে; কিন্তু তা সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মতো পর্যাপ্ত তহবিলের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। উপদেষ্টা বলেন, এ প্যাকেজ এলডিসি ও সিডসের মতো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ন্যায়সংগত প্রস্তাব দিতেও ব্যর্থ হয়েছে। এটি তাদের ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকির মুখে আরও বেশি একা করে ফেলেছে।