মহানগর
খাবারের ঘ্রাণে, ঐতিহ্যের টানে
সকালে ধোঁয়া ওঠা চায়ে ডুবিয়ে বাখরখানি খেলেন। এরপর কোনো ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দুপুরে বিরিয়ানি বা কাচ্চি। খাওয়া শেষে বিকেলে নদীর বুকে খানিক হাওয়া খেলেন। যেতে পারেন মোগল ঐতিহ্যের লালবাগের কেল্লায় কিংবা আহসান মঞ্জিলে। ক্লান্তি এলে সন্ধ্যায় ঠান্ডা পানীয় বা খুব বেশি খিদে পেলে ঝাল ঝাল কাবাব খেয়ে বাড়ির পথ ধরতে পারেন। যানজটের শহরে এমন একটি দিন কাটাতে চাইলে আপনাকে আসতে হবে পুরান ঢাকায়।
দোকানের নাম: বিসমিল্লাহ বাখরখানি স্টোর
কী কী পদের: পনির, মিষ্টি, ঘি, কাচ্চা, নিমসুকা, তিলের বাখরখানি আছে
দরদাম: ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি
ঠিকানা: ২ নম্বর নারিন্দা সড়ক
মোবাইল: ০১৭২৮-৯২৯১৬৩
দোকানের নাম: মুরগিটোলা বাখরখানি
পদ: মিষ্টি ও নিমসুকা বাখরখানি
দরদাম: প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা
ঠিকানা: মুরগিটোলা, ধূপখোলা মাঠ সড়ক
মোবাইল: ০১৭২৫-৮৩৭৮৩২
দোকানের নাম: হাজী বিরিয়ানি
কী কী পদ: বিরিয়ানি ও বোরহানি
দরদাম: বিরিয়ানির দাম ১৫০ থেকে ৩৪০ টাকা
ঠিকানা: ৭০, কাজী আলাউদ্দিন রোড
দোকানের নাম: হানিফ বিরিয়ানি
কী কী পদ: বিরিয়ানি ও বোরহানি
দরদাম: বিরিয়ানি ১৫০-৩০০, বোরহানি ২২০ টাকা লিটার, প্রতি গ্লাস ৫৫ টাকা
ঠিকানা: কাজী আলাউদ্দিন রোড
দোকানের নাম: নান্না বিরিয়ানি
কী কী পদ: কাচ্চি, বিরিয়ানি, পোলাও, লাবাং, বোরহানি, ফিরনি, টিকা কাবাব
দরদাম: ৩০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে
ঠিকানা: ৬২, কাজী আলাউদ্দিন রোড
মোবাইল: ০১৭৩৩-৬৯৩৯৪৬
দোকানের নাম: জগন্নাথ ভোজনালয়
কী কী পদ: প্রায় ৪০ পদের নিরামিষ আইটেম। বেশি চলে পাঁচমিশালি সবজি, ভর্তা, ডাল, ছানা, বড়া, সয়াবিন।
দরদাম: প্রতি পদ ১০ থেকে ৫০ টাকা
ঠিকানা: ১১০, তাঁতীবাজার, পুরান ঢাকা
মোবাইল: ০১৭১২-০৯৮৭১৯
দোকানের নাম: বিউটি বোর্ডিং
কী কী পদ: ভাত, ডাল, সবজি, ভাজি, ভর্তা, বড়া, চচ্চড়ি, শর্ষে ইলিশ, রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, চিতল, পাবদা, চিংড়িসহ নানা মাছ। বিকেলে-সন্ধ্যায় লুচি, ডাল-সবজি, চা।
দরদাম: ২০ থেকে ২০০ টাকা
ঠিকানা: ১ নম্বর শ্রীশদাস লেন, বাংলাবাজার, ঢাকা
মোবাইল: ০১৭৮২-৬৮৬০৪
সন্ধ্যায়
ঠান্ডা পানীয়, সঙ্গে হতে পারে হালিম বা কাবাব
দোকানের নাম: বিউটি লাচ্ছি ও ফালুদা
কী কী পদ: লাচ্ছি, শরবত, ফালুদা
দরদাম: ২০ থেকে ১৩০ টাকা
ঠিকানা: ৩০/১, জনসন রোড, পুরান ঢাকা
মোবাইল: ০১৭৭৬-০৯৩১৮৯
দোকানের নাম: বোখারী রেস্তোরাঁ
কী কী পদ: মাটন বটি কাবাব, চিকেন বটি কাবাব, চিকেন মালাই কাবাব, রেশমি কাবাব, শিক কাবাব, তান্দুরি চিকেন, হারিয়ালি কাবাব, তান্দুরি চিকেন কক, মালাই তান্দুরি চিকেন। এ ছাড়া হাঁড়ি হাঁস-গরু-খাসি, তেলাপিয়া-টুনা-ইলিশ-রূপচাঁদা বারবিকিউ, মাটন লেগ।
দরদাম: ২০০ থেকে ৫০০ টাকা
ঠিকানা: ৭২-৭৩, কাজী আলাউদ্দিন রোড
দোকানের নাম: শাহী সুলতানি চা
কী কী পদের: তান্দুরি চা, চকলেট চা, স্ট্রবেরি চা, বাদামি চা, পনির চা, স্পেশাল চা–ও আছে
দরদাম: ৩০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি কাপ
ঠিকানা: সুভাষ বোস অ্যাভিনিউ, লক্ষ্মীবাজার
মোবাইল: ০১৭১২-৬০৩৯০২
দোকানের নাম: জাফরানী তান্দুরী চা
কী কী পদের: তান্দুরি চা, স্পেশাল তান্দুরি চা, তান্দুরি কফি, স্পেশাল তান্দুরি কফি, খানদানি চা, পনির চা, স্পেশাল চা, জাফরানি চা, জাফরানি মালাই চা
দরদাম: ৩০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কাপ
ঠিকানা: সুভাষ বোস অ্যাভিনিউ, লক্ষ্মীবাজার
মোবাইল: ০১৭১৬-৮০৬৩৪১
পান: সদরঘাটের পান ও রায়সাহেব বাজারের মানিক মিয়ার পানের নামডাক আছে। নানা রকমের জর্দাসহযোগে মিষ্টি এসব পানের দাম ১০-৩০ টাকা। আগুন পানও খেতে পারবেন ৩০ টাকায়।
স্থানের নাম: আহসান মঞ্জিল
কী দেখবেন: বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ।
প্রবেশ ফি: প্রাপ্তবয়স্ক দর্শনার্থী ৪০ টাকা, ৩ থেকে ১২ বছরের শিশু ২০ টাকা।
খোলা-বন্ধ: শনি থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা। শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। বৃহস্পতিবার বন্ধ।
স্থানের নাম: লালবাগ কেল্লা
কী দেখবেন: ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লালবাগে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত একটি অসমাপ্ত মোগল দুর্গ।
খোলা-বন্ধ: শনি থেকে বুধবার সাড়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা। শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। বৃহস্পতিবার বন্ধ। এর স্বল্প দূরত্বে ঢাকেশ্বরী মন্দির অবস্থিত। চাইলে দেশের এই জাতীয় মন্দিরটিও ঘুরে আসতে পারেন।
স্থানের নাম: বলধা গার্ডেন
কী দেখবেন: উদ্ভিদ উদ্যানটিতে প্রায় ৮০০ প্রজাতির ১৮ হাজার উদ্ভিদ রয়েছে। শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের জন্য এ বাগান উন্মুক্ত। বিশেষ আগ্রহ থাকে সূর্যঘড়ির প্রতি। সূর্যের আলোর সাহায্যে এই ঘড়ির সময় নির্ণয় করা হয়। তাই এর নাম সূর্যঘড়ি। এটি প্রায় শতবর্ষী একটি ঘড়ি।
খোলা-বন্ধ: প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা।
বুড়িগঙ্গায় নৌভ্রমণ:
যেকোনো ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া নিয়ে ঘণ্টায় ১০০-১৫০ টাকার মধ্যে ঘোরার সুযোগ আছে। এপাড় থেকে ওপাড়ে যাওয়া-আসা ১০ টাকা করে। ওপারে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় গিয়েও নানা পদের কাবাব, হালিমের স্বাদ নেওয়া যেতে পারে।
-তথ্য দিয়েছেন আশিকুজ্জামান, ঢাকা *ছবি: দীপু মালাকার