স্ত্রী কথা শুনতে বাধ্য নাকি
স্ত্রী ও দুই সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন যশোরের অভয়নগরের নির্মাণশ্রমিক জহিরুল ইসলাম। এই নিষ্ঠুরতার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩২) তাঁর কথা শুনতে চাইতেন না। বাবার বাড়ি গিয়ে বেশি দিন থাকতে চাইতেন। মা–বাবার কথাই বেশি শুনতেন। স্ত্রীর এই আচরণ তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই সাবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। শুধু তা–ই নয়, স্ত্রীর প্রতি রাগের পরিমাণ এত বেশি ছিল যে দুই মেয়ে—৯ বছর বয়সী সুমাইয়া আর ২ বছর বয়সী সাফিয়াকেও গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। গত শনিবার জহিরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেছেন। তার আগের দিন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করেন তিনি।
জহিরুল ইসলাম সত্য কথাটা বলে ফেলেছেন। কিন্তু সাবিনার মতো কত নারীকে স্বামীর কথা না শোনায় হত্যার শিকার হতে হচ্ছে, সে পরিসংখ্যান পাওয়ার উপায় নেই। গণমাধ্যমে শিরোনাম হওয়া আরও কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করলে বোঝা যাবে, স্ত্রীকে কত তুচ্ছ কারণে মেরে ফেলা যায়। গত বছরের জুলাই মাসে পাবনায় রান্নার সময় ভাতের চাল কিছুটা বেশি নেওয়ায় মাধবী বসাককে পিটিয়ে হত্যা করেন স্বামী সুব্রত হালদার। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। মৃত্যুর সময় মাধবী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
বগুড়ার রনজু মিয়া ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে স্ত্রী সান্ত্বনা আক্তারকে হত্যা করেন। এরপর স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে পালিয়ে যান। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে গ্রামের বাড়িতে গেলে মা–বাবা তাঁকে সেখানে আশ্রয় দেননি। এরপর বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াতে থাকেন। তবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রনজু গ্রেপ্তার হন। প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে ঝগড়া করায় তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী সান্ত্বনাকে হত্যা করেছিলেন বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) গোয়েন্দাদের বলেছিলেন রনজু। এই ঘটনাগুলো নিম্ন আয়ের পরিবারে ঘটেছে। উচ্চবিত্ত এবং শিক্ষিত পরিবারে সামাজিকতার ভয়ে রাখঢাক সংস্কৃতির কারণে অনেক ঘটনা গণমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছাতেই পারে না।
স্ত্রীর ওপর এভাবে চড়াও হওয়া বন্ধে সরকারের যে ভূমিকা রাখা দরকার, তা হচ্ছে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বউ কথা শুনতে বাধ্য নাকি? স্ত্রীকে পুরুষদের কেউ কেউ নিজের সম্পদ মনে করেন। এই পুরুষেরা মনে করেন, স্ত্রীর নিজস্ব কোনো মতামত থাকতে পারে না। স্বাধীনতা থাকতে পারে না। সব সময় স্বামীর কাছে নতজানু হয়ে থাকতে হবে। আর যদি কেউ অবাধ্য হওয়ার চেষ্টা করেন তবে তাঁকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন তো করাই যায়, এমনকি মেরেও ফেলা যায়, তার নজির তো দেখাই যাচ্ছে। অথচ নারী হোক না কারও স্ত্রী তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে, আলাদা সত্তা আছে, আলাদা চিন্তা–চেতনা আছে। এ বিষয়টি পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মানতে চায় না।
মালেকা বানুর মতে, স্ত্রীকে সম্পদ মনে করা ব্যক্তিদের তালিকায় একজন রিকশাচালক থাকতে পারেন, একইভাবে একজন তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তিও থাকতে পারেন। এটি মজ্জায় মিশে গেছে।
নির্যাতনের শিকার হন অধিকাংশ নারী
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন সার্ভে ২০১৫’ শীর্ষক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ বিবাহিত নারী অকারণে স্বামী রেগে যাওয়ার কারণে নির্যাতনের শিকার হন। অর্থাৎ ৪৭ শতাংশ নারীর স্বামী অকারণে রেগে যান। ২০১৬ সালের শেষের দিকে সরকার এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে।
স্বামীর নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের কারণে নির্যাতনের পরিসংখ্যান নিয়ে জরিপ প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। কেননা মোট নির্যাতনের মধ্যে বিবাহিত নারীর ১৫ শতাংশই এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। সার্বিকভাবে জরিপের ফলাফল ছিল, বিবাহিত নারীদের ৮০ দশমিক ২ শতাংশ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সরকারের জরিপটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতা রেখে স্বামীর নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের একটি সংজ্ঞা খোঁজা হয়েছিল। জাতিসংঘের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে বাধা দেন কি না; বাবার বাড়ি যেতে দেন কি না; স্ত্রী কোথায় থাকেন, কীভাবে সময় কাটান, কী করেন, তা সন্দেহজনকভাবে জানতে চান কি না; ভালো বা মন্দ লাগা বিষয়ে কোনো তোয়াক্কা না করে বা গুরুত্ব না দিয়ে অগ্রাহ্য করেন কি না; আত্মীয় বা অনাত্মীয় পুরুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে স্বামী রেগে যান কি না; স্বামী প্রায়ই কোনো না কোনো কারণে সন্দেহ বা অবিশ্বাস করেন কি না; স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার আগে স্বামীর অনুমতি নিতে হয় কি না—এসব প্রশ্নের ভিত্তিতে জরিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের উত্তর দিতে বলা হয়।
এই বিষয়গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে যে প্রশ্নগুলো যোগ করা হয়েছিল তা হলো পোশাকের বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেন কি না, পড়াশোনা বা চাকরি করতে বাধা দেন কি না, বাইরে বেড়াতে যেতে বাধা দেন কি না, মা-বাবা সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য বা তাঁদের গালাগাল ও অসম্মান করে কথা বলেন কি না, জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া গ্রহণে বাধ্য করেন কি না বা পদ্ধতি গ্রহণে বাধা দেন কি না, কন্যাসন্তান প্রসবের কারণে খারাপ কথা বা খারাপ আচরণ করেন কি না, ননদ, দেবরসহ পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নালিশের কারণে খারাপ আচরণ করেন কি না, কোনো কারণ ছাড়াই রেগে যান কি নাসহ অন্যান্য কারণ। জরিপ মতে, ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ নারীই জীবনে কোনো না কোনো সময়ে স্বামীর এ ধরনের এক বা একাধিক আচরণ সহ্য করেছেন।
সরকারের বিভিন্ন জরিপে বারবারই উঠে এসেছে নারীরা ঘরের ভেতরে ভালো নেই। বিবিএসের প্রথমবারের মতো নারী নির্যাতন নিয়ে করা ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন (ভিএডব্লিউ) সার্ভে ২০১১’ শীর্ষক জরিপ অনুযায়ী, বিবাহিত নারীদের ৮৭ শতাংশই স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনো সময়ে, কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৮২ শতাংশই মানসিক নির্যাতনের শিকার। কোন ধরনের নির্যাতন, কোথায় হয়, এ প্রশ্নের উত্তরে অধিকাংশ নারীই স্বামীর ঘরে মানসিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। নারী নির্যাতন নিয়ে বিবিএস প্রথম জরিপ প্রকাশ করেছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে।
নারী নির্যাতন রাস্তাঘাটেও
গত ৫ জুলাই বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন মাসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, গত ছয় মাসে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। আক্রমণকারীরা নারীর ব্যক্তি স্বাধীনতা, চলাচলের স্বাধীনতা, সাজ ও পোশাকের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে। গত ২ এপ্রিল ‘টিপ পরার কারণে’ ঢাকার তেজগাঁও কলেজের একজন প্রভাষককে লাঞ্ছিত করে একজন পুলিশ সদস্য। ২ মে নরসিংদী রেলস্টেশনে ‘পোশাকের কারণে’ একজন তরুণীকে হেনস্তা করা হয়। অর্থাৎ রাস্তাঘাটে অপরিচিত নারীর সঙ্গে কিছু পুরুষ অসভ্য আচরণ করছে, পাশাপাশি স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ এমনকি মেরে ফেলার মতো ঘটনা ঘটছে।
আসকের ছয় মাসের প্রতিবেদন বলছে, এ সময়ে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২২৮ জন নারী। এর মধ্যে ১৪০ নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৪২ জন নারী। এ ছাড়া শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৬ জন নারী। এ সময়ে স্বামীর বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ছয়জন নারী।
নির্যাতন মেনে নিচ্ছেন অনেক নারী
স্বামীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারীর রুখে দাঁড়ানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি না তাও দেখার বিষয় রয়েছে। নারীর উপার্জন বিষয়ে নারী নির্যাতন নিয়ে বিবিএসের প্রথম জরিপে বলা হয়েছিল, ৮৫ শতাংশ নারীর উপার্জনের স্বাধীনতা নেই। মাত্র ১৫ শতাংশ নারী নিজের ইচ্ছায় উপার্জনের স্বাধীনতা পান। আবার যাঁরা আয় করেন তাঁদের প্রায় ২৪ শতাংশেরই নিজের আয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই। যাঁরা অনুমতি দেন, সেসব স্বামীর ৯৩ দশমিক ১৯ শতাংশই স্ত্রীর উপার্জন করার বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেন না।
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ নানা কারণে অনেক নারী স্বামীর হাতে মার খাওয়ার বিষয়টিকে মেনে নিচ্ছেন বা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। দেশের প্রতি চারজন বিবাহিত নারীর একজন স্বামীর হাতে মার খাওয়াকে যৌক্তিক মনে করেন। এই নারীদের বয়স ১৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে। স্বামীর অনুমতি না নিয়ে বাইরে যাওয়া; বাচ্চাদের প্রতি যত্নশীল না হওয়া; স্বামীর সঙ্গে তর্ক করা; যৌন সম্পর্ক করতে অস্বীকৃতি জানানো এবং খাবার পুড়িয়ে ফেলা—এই পাঁচ কারণের অন্তত একটির জন্য ওই নারীরা মার খান। আর তাঁরা স্বামীর হাতে মার খাওয়ার এই কারণগুলোকে যৌক্তিক মনে করেন।
বিবিএসের মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯-এ এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিবিএসের ২০১৫ সালের জরিপ বলছে, স্বামীর নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর বেশির ভাগ নারী (৭২ দশমিক ৭ শতাংশ) কখনোই নির্যাতনের কথা কাউকে জানাননি। বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার মাত্র ১ দশমিক ১ শতাংশ নারী পুলিশের সহায়তা চান। কেন নির্যাতনের কথা জানাননি, এ প্রশ্নের উত্তরে শতকরা ৩৯ জনের বেশি নারী বলেছেন, পারিবারিক সম্মানের কথা চিন্তা করে, নির্যাতনের ভয়ে, স্ত্রীকে স্বামীর মারার অধিকার আছে ভেবে অথবা লজ্জায় তাঁরা বিষয়গুলো কাউকে জানানোর প্রয়োজনই মনে করেননি। আর আইনের আশ্রয় নেওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতায় কতজন নারী শেষ পর্যন্ত মামলা লড়ে যেতে পারেন তাও বিরাট প্রশ্ন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলাগুলোর বিচার হয় বিশেষ আদালতে। প্রথম আলো ছয়টি অপরাধে ঢাকা জেলার বিশেষ আদালতগুলোয় আসা ৮ হাজারের কাছাকাছি মামলার বিচার-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে। অপরাধগুলো হচ্ছে, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের জন্য হত্যা, যৌতুকের জন্য হত্যা, আত্মহত্যায় প্ররোচনা আর যৌন নিপীড়ন। ২০০২ থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছরে মামলাগুলো আদালতে এসেছিল। অর্ধেকের কিছু বেশি মামলা নিষ্পন্ন হয়েছিল। সাজা হয় তার মাত্র ৩ শতাংশ মামলায়। অর্থাৎ ধর্ষণ, যৌতুক এ ধরনের গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রেই মামলাগুলোর এ অবস্থা হয়েছিল, তাই স্বামী মারধর করেন, মানসিক নির্যাতন করেন—এ ধরনের অপরাধে মামলাগুলোর পরিণতি সহজেই অনুমেয়।
সরকার নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-৩০) প্রণয়ন করছে। কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে? ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদে প্রশ্ন উত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারী ও শিশুর প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলের লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত সরকারের উল্লেখযোগ্য কাজ চোখে পড়ে না। সমাজের মনন বদলের জন্য বিনিয়োগে সরকার উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছে বা নিচ্ছে তারও তো নজির নেই। রাষ্ট্র, পরিবার ও সমাজে নারীকে ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি ও সম্মান দিতে হবে-এটি এখনো কাগুজে গালভরা বুলি। তাই অভয়নগরের জহিরুল ইসলামেরা অনেকটা নির্ভয়েই শুধু স্ত্রী কথা শুনতে চান না এ অভিযোগে স্ত্রী এমনকি সন্তানদেরও হত্যা করতেই থাকবেন।
সরকার উদ্যোগী না হলে এই নির্যাতন ঘটতেই থাকবে বলে মনে করেন নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মালেকা বানু। তিনি বলেন, সরকার নারীর ক্ষমতায়নে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নে সরকারের আগ্রহ নেই। সম্পত্তিতে নারীদের সম–অধিকার দেওয়ার বিষয়ে সরকার নিশ্চুপ। ধর্মের অপব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছে, তা বন্ধেও সরকার তৎপর নয়। সরকার এই বিষয়গুলোতে নারীর পাশে না থাকলে, পুরুষতান্ত্রিক মনমানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো না গেলে স্ত্রী কেন কথা শুনলেন না এ অজুহাতে স্ত্রীকে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটতেই থাকবে।