ঢাকার ছয় হাসপাতালে রোগীদের জন্য কটু গন্ধের ভাত, পানির মতো ডাল ও ছোট টুকরার মাছ
রোগীর খাবার ও পথ্য রোগীর চিকিৎসার একটি অংশ। এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে রোগ সারতে দেরি হয়। আবার রোগীর খরচও বাড়ে।
বাগেরহাটের নৃপতি দাশ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। তাঁর জিবে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই তাঁকে নল দিয়ে তরল খাবার খাওয়াতে হচ্ছে। তবে ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নৃপতির জন্য হাসপাতাল থেকে যে খাবার দেওয়া হয়েছিল তাতে ছিল মোটা চালের ভাত, প্রায় গলে যাওয়া একটু সবজি, পাতলা ডাল আর ভেজে রান্না করা এক টুকরা মাছের লেজ।
নৃপতির জন্য স্যুপ বা তরল খাবার কেন দেওয়া হলো না, এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা গেল, চিকিৎসক রোগীর ফাইলে ‘নরমাল ডায়েট’ লিখে রেখেছেন। তাই তাঁকে সাধারণ খাবারই দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু হাসপাতালের খাবার খেতে পারছেন না, তাই স্যুপসহ অন্য খাবার কিনতে দিনে দেড় শ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে, জানালেন মেয়ে শ্রাবন্তী।
সরকারি হাসপাতালে রোগীর খাবার নিয়ে বিশৃঙ্খলা চলছে। খাবারের জন্য শুধু বাজেট বাড়ালেই হবে না, খাবার তৈরির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত ও দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে হবে।অধ্যাপক রশিদ-ই-মাহবুব, সাবেক সভাপতি, বিএমএ
সম্প্রতি রাজধানীর ছয়টি হাসপাতাল সরেজমিনে ঘুরে রোগীর খাবার ও পথ্যের সার্বিক চিত্রটি দেখার চেষ্টা করেছেন এই প্রতিবেদক। হাসপাতালগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।
হাসপাতালগুলো ঘুরে কিছু সাধারণ অভিযোগ পাওয়া গেছে: মোটা চালের ভাত, ভাতে কটু গন্ধ, ডাল–পানির মতো পাতলা ও স্বাদহীন তরকারি। ক্যালরি মেপে রোগীর বয়স, ওজন ও রোগের ধরন অনুযায়ী খাবার দেওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে পুষ্টিবিদ রাখা হয়েছে নামে মাত্র। এ ব্যাপারে নজরদারির ঘটতি আছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই বছর আগে সরকারি হাসপাতালে প্রত্যেক রোগীর জন্য দৈনিক বরাদ্দ ছিল ১২৫ টাকা। করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২২ সালে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা করা হয়। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কেটে রাখা হয়। অবশ্য বার্ন ইনস্টিটিউটে আইসিইউ এবং এইচডিইউ ইউনিটের রোগীদের জন্য বরাদ্দ ৩০০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান বাজারে দৈনিক ১৭৫ টাকা বরাদ্দে ভালো খাবার দেওয়া কঠিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) চিকিৎসক আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বললেন, হাসপাতালের খাবার রোগীরা খাচ্ছেন না, এটা ঢালাওভাবে বলার সুযোগ নেই। যদি না–ই খেতেন, তাহলে তো রোগীর স্বজনেরা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে হাসপাতালের খাবার নিতেন না।
ক্যালরি মেপে রোগীর বয়স, ওজন ও রোগের ধরন অনুযায়ী খাবার দেওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে পুষ্টিবিদ রাখা হয়েছে নামে মাত্র। এ ব্যাপারে নজরদারির ঘটতি আছে।
অনেকে বাইরের খাবার খান
জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালে ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভাত খেয়ে বিছানায় বসেছিলেন জামালপুরের মাসুদ রানা। ওই দুপুরে মাসুদ রানা হাসপাতালের খাবার খাননি। তিনি বললেন, ‘খাবার যদি ভালোই হতো, তাহলে হাসপাতালের বিনা মূল্যে পাওয়া খাবার কেন খাব না?’
বাড়ি থেকে চাল নিয়ে এসেছেন মাসুদ রানার স্ত্রী। মাসুদ রান্না করা ভাতের পাতিল হাতে নিয়ে বললেন, ‘এই চালের স্বাদ আর গন্ধ দেখেন আর হাসপাতালের চালের স্বাদ ও গন্ধ দেখেন। তাইলেই বুঝবেন কেন খাই না।’
ক্যানসার হাসপাতালের কাছেই রোগীর স্বজনেরা রুম ভাড়া করে থাকছেন। সেখানে কয়েকজন মিলে রান্না করতে পারেন, তেমন ব্যবস্থাও আছে। ভাত ও তরকারি রান্নার জন্য ১০ টাকা করে দিতে হয়।
এই চালের স্বাদ আর গন্ধ দেখেন আর হাসপাতালের চালের স্বাদ ও গন্ধ দেখেন। তাইলেই বুঝবেন কেন খাই না।রোগী মাসুদ রানার স্ত্রী
বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক, স্টুয়ার্ড, বাবুর্চিরা বলছেন, ১৭৫ টাকায় রোগীর বিকেলের নাশতাসহ মোট চার বেলার খাবার দেওয়া সম্ভব হয় না। জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালে মাছ, মাংসের টুকরা ৫৫ গ্রাম করা হয়েছে, আগে ছিল ৭০ গ্রাম। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের রান্নাঘরের কর্মী জানালেন, পাঙাশ মাছের দাম কম, তাই গ্রাম হিসেবে মাছের টুকরা একটু বড় রাখা যায়। রুই মাছ থাকলে টুকরা ছোট হয়। তবে মাছ–মাংসের টুকরার হিসাব করা হয় চোখের আন্দাজে।
১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ৫৪ কেজি খাসির মাংস রান্না হয় ৯৯৩ জন রোগীর জন্য। একেকজন রোগীর জন্য ৫৫ গ্রাম ওজনের এক টুকরো মাংস বরাদ্দ ছিল। এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরেও ৬০ গ্রাম ওজনের মাংসের টুকরা দেওয়া হতো।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকালের নাশতা ৫৩ দশমিক ৬৭ টাকায়; দুপুরের খাবার ৫২ দশমিক ৭৯ টাকায়; বিকেলের নাশতা ৩০ দশমিক ৮৭ টাকায় এবং রাতের খাবার ৩৭ দশমিক ৬৭ টাকায় দেওয়া হয়। কাগজে–কলমে এই হচ্ছে মোট টাকা ১৭৫ টাকার হিসাব।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের রান্নাঘরের কর্মী জানালেন, পাঙাশ মাছের দাম কম, তাই গ্রাম হিসেবে মাছের টুকরা একটু বড় রাখা যায়। রুই মাছ থাকলে টুকরা ছোট হয়। তবে মাছ–মাংসের টুকরার হিসাব করা হয় চোখের আন্দাজে।
রাজশাহীর কৃষক আবুল হোসেন মেয়ে আম্বিয়াকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আছেন দুই মাস ধরে। আবুল হোসেনের সহজ স্বীকারোক্তি—হাসপাতালের রান্নাটা ভালো লাগে না। পাশ থেকে আরেকজন বললেন, যে কলা দেয়, তা খাওন যায় না। ডাল পানি পানি লাগে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কেউ খাবার নিয়ে অভিযোগ করেন না। অভিযোগ বাক্সেও এমন কোনো তথ্য কেউ জানান না।
২০১৩ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: সুশাসনের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রতিদিন গড়ে ২০০ রোগী হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা পথ্য গ্রহণ করেন না।
একজন ডায়েটিশিয়ান আছেন। তবে প্রতিদিন চার হাজারের বেশি রোগীর জন্য মেপে খাবার পরিবেশন করা কঠিন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান
নামেই পুষ্টিবিদ, মাপেন না ক্যালরি
ওষুধের মতো প্রতিদিনের খাবার প্রত্যেক রোগীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর ডায়াবেটিস আছে কি না, কিডনিতে সমস্যা আছে কি না, এসব জেনে খাবার নির্বাচন করতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে রোগীর বয়স, ওজন অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ ঠিক করতে হয়। রোগীভেদে কোন খাবার লাগবে, তা ঠিক করে দেওয়ার দায়িত্ব ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদের।
জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালের ‘ডায়েটিশিয়ান’ হিসেবে চার বছর ধরে কর্মরত আছেন ছামিউল ইসলাম। তিনি বাণিজ্য শিক্ষায় স্নাতক। স্টুয়ার্ড হিসেবে কাজ করতেন সরকারের অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে, পদোন্নতি পেয়ে এখানে এসেছেন। পুষ্টি বিষয়ে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ আছে তাঁর। ক্যালরি মাপাসহ অন্যান্য দায়িত্ব কীভাবে পালন করছেন, জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এটি চর্চার বিষয়, সমস্যা হচ্ছে না।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান মার্জিয়া সুলতানা বলেন, চিকিৎসক যে খাবার লিখে দেন, তিনি তার তদারক করেন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ডায়েট অফিসারের পদ থাকলেও জনবল নিয়োগ হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, একজন ডায়েটিশিয়ান আছেন। তবে প্রতিদিন চার হাজারের বেশি রোগীর জন্য মেপে খাবার পরিবেশন করা কঠিন।
শিশুরা কেমন খাবার পাচ্ছে
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের রোগী ও রোগীর মায়েদের সঙ্গে কথা হয় ৫ ফেব্রুয়ারি। এ হাসপাতালে বিনা মূল্যের বিছানার শিশু রোগীরা হাসপাতাল থেকে খাবার পাচ্ছে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বললেন, খাবার একটু বেশি দেওয়া হয়, যাতে শিশুর মা সেই খাবার খেতে পারেন। তবে মায়েরা বলছেন, খাবারের পরিমাণ কম।
বাগেরহাটের তানিয়া দুই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে এক মাস ধরে হাসপাতালে আছেন। তিনি বললেন, হাসপাতালের দেওয়া খাবারে কোনো স্বাদ নেই। পরিমাণ খুব কম। খাবারের চেহারা ফ্যাকাশে। কিন্তু ‘ঠেইক্যা’ এ খাবারই খেতে হচ্ছে। প্রায়ই তাঁকে বাইরে থেকে খাবার কিনে আনতে হয় বলে জানালেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহু পুরোনো রান্নাঘরটি হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থিত। কাপড় দিয়ে ঢেকে ট্রলিতে করে খাবার হাসপাতালে আনা হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ হাসপাতালের রান্নাঘরে ঢুকে দেখা গেল, মেঝেতে ছোট ছোট গর্তে পানি জমে আছে। রান্নাঘর প্রায় অন্ধকার, নাকে আসে দুর্গন্ধ।
এ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ৬৮২ শয্যার এ হাসপাতালে ৪০ শতাংশ বিছানা বিনা মূল্যের। শিশুর বয়স ৬ মাস পার হলে প্রয়োজন থাকলে দুধ দেওয়া হয়। অপুষ্টির শিকার শিশুদের যার যে রকম প্রয়োজন, সে অনুযায়ী খাবার দেওয়া হচ্ছে তালিকা মেনে।
ওই দিন দুপুরে শিশুদের মোটা চালের ভাত, ছোট এক টুকরা মুরগির মাংস এবং ডালের সঙ্গে সবজি মিশিয়ে দেওয়া হয়। অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বললেন, রোগীদের তো আতপ চাল বা বাসমতী চাল দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সকালে আতপ চালের খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের রান্নাঘরের বেহাল দশা
তবে খিচুড়ি বা ভাত যা–ই রান্না করা হোক না কেন, তা সব সময় পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রান্না করা হয় না। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহু পুরোনো রান্নাঘরটি হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থিত। কাপড় দিয়ে ঢেকে ট্রলিতে করে খাবার হাসপাতালে আনা হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ হাসপাতালের রান্নাঘরে ঢুকে দেখা গেল, মেঝেতে ছোট ছোট গর্তে পানি জমে আছে। রান্নাঘর প্রায় অন্ধকার, নাকে আসে দুর্গন্ধ।
হাসপাতালটির পরিচালক চিকিৎসক মো. শফিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাসপাতালের রান্নাঘরের খারাপ অবস্থা তা মানছি। এত পুরোনো রান্নাঘর মেরামত করাও সম্ভব না। তবে খুব দ্রুত নতুন একটি ভবনে আধুনিক রান্নাঘর তৈরি হবে, সে প্রক্রিয়া চলছে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রান্নাঘরও বহু পুরোনো। নতুন রান্নাঘর হলে ভালো পরিবেশে কাজ করা সম্ভব বলছেন সেখানকার কর্মীরা।
করণীয়
সরকারি হাসপাতালে রোগীর খাবার নিয়ে অভিযোগ অনেক পুরোনো। একদিকে খাবার মানসম্মত নয়, অন্যদিকে গণহারে প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই রোগীদের একই খাবার দেওয়া হচ্ছে। রোগীর পথ্য বা খাবারকে চিকিৎসার অংশ হিসেবে দেখতে অনেকেই অভ্যস্ত নন। হাসপাতালের রোগীর খাবার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা–বিতর্ক কম হতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, সরকারি হাসপাতালে রোগীর খাবার নিয়ে বিশৃঙ্খলা চলছে। খাবারের জন্য শুধু বাজেট বাড়ালেই হবে না, খাবার তৈরির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত ও দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে হবে। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদ মিলে ক্যালরি মেপে রোগীর খাবারের তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন।