১১টা ৪০ মিনিটের ট্রেন ছাড়ল ২টা ২৭ মিনিটে
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় খুলনাগামী নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস। কিন্তু আজ রোববার পৌনে ৩ ঘণ্টা দেরিতে বেলা ২টা ২৭ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা ছেড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এই ট্রেনের যাত্রীরা।
তবে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস বাদে অন্য ট্রেনগুলো সময়মতো কমলাপুর ছেড়েছে।
নকশিকাঁথা এক্সপ্রেসে টিকিট কাটেন ইমরান হোসেন। জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকেই স্টেশনে এসেছেন। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সেখানেই অপেক্ষা করছেন তিনি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়িতে যাবেন।
পরিবার নিয়ে ইমরান থাকেন গাজীপুরে। সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। বেলা একটার দিকে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গাজীপুর থেকে সকাল ছয়টায় রওনা হয়েছি। সাড়ে নয়টার মধ্যে স্টেশনে চলে এসেছি। এর পর থেকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
গাজীপুর থেকে তো বাসে করে কুষ্টিয়া যাওয়া যায়—এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, গাজীপুর থেকে সড়কপথে ভেঙে ভেঙে কুষ্টিয়া যেতে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চালু হওয়ায় এখন সময় কম লাগছে। তাই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে বাড়ি যেতে ভালো লাগে।
এমরানের পাশে প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে বসে ছিলেন শাহিদা বেগম। তাঁরও গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। বললেন, ‘কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। এখনো ট্রেন আসেনি। কখন আসবে জানি না।’
শাহিদা বেগমের ছেলে আবদুল্লাহ থাকেন রাজধানীর গাবতলীতে। বাসচালকের সহকারীর কাজ করেন। গাবতলীতে ছেলের বাসায় থাকেন শাহিদা। এখন ঈদ করতে গ্রামে ফিরছেন। বললেন, ‘বাসে ভাড়া বেশি। তাই ট্রেনে যাচ্ছি।’
কমলাপুর রেলস্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়ে। নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যথাসময়ে না আসায় ইমরান ও শহিদার মতো কয়েক শ মানুষ কমলাপুর রেলস্টেশনে ভোগান্তিতে পড়েছেন। আট নম্বর প্ল্যাটফর্মের যে অংশে ট্রেন এসে থামে, সেখানে যাত্রীদের বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। অনেককেই মেঝেতে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস আসতে দেরি হওয়ায় যথাসময়ে ঢাকা থেকে ছাড়া যায়নি বলে জানান কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। কখন ট্রেনটি আসবে—এমন প্রশ্নে তিনি বেলা একটার দিকে বলেন, শিগগিরই চলে আসবে।
তবে ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনে আজ নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ছাড়া বেশির ভাগ ট্রেন যথাসময়ে কমলাপুর ছেড়ে গেছে। স্টেশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের অনেকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সাধারণত কমলাপুরে রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন ৪২টি আন্তনগর এবং ২৫টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৮টি বিশেষ ট্রেন রাখা হয়েছে।