মুখোশ পরে এসে হামলা, আহত যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু

নিহত মো. দেলোয়ার হোসেনছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত যুবলীগ কর্মী মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

দেলোয়ার হোসেন উপজেলার চরতি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরতির আলী চানপাড়া এলাকার মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও যুবলীগের নেতা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।

পুলিশ ও নিহত দেলোয়ার হোসেনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চরতির কাটাখালী ব্রিজ এলাকায় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন ব্যক্তি গল্প করছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে দেলোয়ার হোসেনকে জোরপূর্বক একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে উপজেলার আমিলাইষ এলাকার দিকে নিয়ে যান। পরে তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁকে আমিলাইষের মাঝের মসজিদ এলাকায় ফেলে রেখে চলে যান দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত দেলোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

নিহত দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে মো. সাইমুন হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবা একসময় বিএনপির সমর্থক ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যুবলীগের মিটিং-মিছিলে অংশগ্রহণ করতেন। সম্প্রতি তিনি ফেসবুক লাইভে এসে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পক্ষে কিছু কথাবার্তা বলেছেন। তাই বিভিন্ন সময়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা আমার বাবাকে হুমকি-ধমকি দিতেন। যাঁরা আমার বাবাকে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন, তাঁরাই আমার বাবাকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছেন।’

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, দেলোয়ার হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। দেলোয়ার হোসেনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা তদন্ত করে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।