রোজায় যাতে দুর্ভোগ না হয়, সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে: চিনির বাজার নিয়ে শিল্পমন্ত্রী
বাজারে কিছুটা অস্থিতিশীলতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেছেন, চিনির বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে, রোজায় যাতে দুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়, সে জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সামনে পবিত্র রমজান মাস। বাজারে কিছুটা অস্থিতিশীলতা আছে, সেটি বিভিন্ন কারণে, বৈশ্বিক কারণে। চিনি আমদানি করা হয়। দেশে ১৭টি চিনির কল আছে। সেখানে কাঁচামাল ইক্ষু উৎপাদন করতে বছর লাগে। দীর্ঘকালীন ফসলটি অনেকে উৎপাদন করতে চাইছেন না। বহুমুখী পদক্ষেপ না নেওয়া হলে চিনির কলগুলো বোঝা হয়ে যাবে। সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারিভাবে যাঁরা (চিনি) তৈরি করেন, তাঁরা বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে করেন। তাঁদের সঙ্গে আমরা বাজারে টিকি না। কারণ, আমাদের মূল্য বেশি পড়ে যায়। সে জন্য আমরা এখন নতুন পন্থায় মিলগুলোকে আরও বাস্তবসম্মত করতে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, এখন আর চিনির অভাব হবে না।’
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সংসদে আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে চিনি করপোরেশন থেকে চিনি সরবরাহ করা হয়। বাইরের বাজারের জন্য ঘাটতি থাকে। টিসিবি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চিনি আমদানি করে। বিশ্ববাজারের পরিস্থিতিতে যেটুকু দাম বাড়ার, সেটুকু বেড়েছে। ভর্তুকি দিয়ে মন্ত্রণালয় দাম ৪৫ টাকাই রেখেছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিসিক শিল্পনগরীতে ১ হাজার ৩০৪টি শিল্প প্লট খালি রয়েছে। যেখানে বেসরকারি উদ্যোক্তারা শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারবেন।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিসিকের দেশব্যাপী বাস্তবায়িত ৮২টি শিল্পনগরীর মোট ১২ হাজার ৩৫৩টি শিল্প প্লটের মধ্যে ১১ হাজার ৪৯টি শিল্প প্লটে বেসরকারি উদ্যোক্তা কর্তৃক ৬ হাজার ৬২ শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। এসব শিল্পনগরীর কারখানায় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৫ হাজার ৩৯৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।