পরিকল্পিত ঢাকার পথে শেলটেক ও জলসিঁড়ি

প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান শেলটেক (প্রা.) লিমিটেডছবি: শেলটেকের সৌজন্যে

ঢাকা শহরের কথা ভাবলে মনে পড়ে, একটি শহুরে শিশুর অলিগলিতে ছুটে বেড়ানো শৈশব। সকালবেলা সাইকেলের প্যাডেলে দৈনিক পত্রিকা বিলানো অথবা মুরগি-সবজি বেচার জন্য দূর থেকে ভেসে আসা হাঁক। ধীরে ধীরে শৈশব পেরিয়ে কৈশোর, কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পৌঁছাতেই ঢাকা হয়ে উঠল কাঠখোট্টা। ট্রাফিকের ক্যাকোফোনি, ভ্যাপসা গরম, উঁচু উঁচু অপরিকল্পিত দালান, ধুলাবালু আরও কত কী একে একে ভিড় করতে লাগল ঢাকায়। উন্নত জীবনের খোঁজে আসা মানুষের ঢল ঠেকাতে কত রকমের পরিকল্পনা, চেষ্টা। কিন্তু অনিয়মের বেড়াজালে গড়ে ওঠা গোটা শহরটাকে তো বদলানো সহজ কথা নয়।

তারপর নতুন নকশা ও পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারা এক ‘ফিউচারিস্টিক সিটি’ নির্মাণের নকশা উপস্থাপন করে, যেটি কিনা হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট ঢাকা, নাম ‘জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প’। আর এই স্মার্ট উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান শেলটেক (প্রা.) লিমিটেড।

১৬০টির বেশি অ্যাপার্টমেন্টের নির্মাণকাজ শুরু করেছে শেলটেক (প্রা.) লিমিটেড
ছবি: শেলটেকের সৌজন্যে

গুলশান-বনানী থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই দেখা মিলবে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পের। শুধু তা-ই নয়, এই যাত্রাপথের গতি মসৃণ করতে নির্মাণ করা হয়েছে সুবিন্যস্ত সড়ক। প্রায় ২ হাজার ১৩৩ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই প্রকল্পের শুধু ৫২ শতাংশ জমি ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে। বাকি ৪৮ শতাংশ জমি ব্যবহৃত হবে সবুজের সমারোহ বজায় রাখতে। আর এই ভাবনা জানতে পেরে প্রজেক্টটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হতে এগিয়ে আসে শেলটেক। কারণ, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই শেলটেক লড়ে যাচ্ছে একটি প্রকৃতিনির্ভর শহর নির্মাণের লক্ষ্যে।

জলসিঁড়ি আবাসনে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে চলাচলের জন্য নির্মিত হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা, যেটি সংযুক্ত থাকবে এই স্মার্ট সিটির সব প্রান্তের সঙ্গে। রাস্তায় চলাচলে মনে স্নিগ্ধতা বজায় রাখতে প্রায় ৬১৩ একর জমি নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রশস্ত সব রাস্তা, যেখানে সুদূর ভবিষ্যতেও বোধ হবে না ট্রাফিক জ্যামের আতঙ্ক।

এ তো গেল রাস্তার গল্প। পরিকল্পিত নগরের রূপরেখায় রয়েছে ২০৫ একরের লেকসাইড ওয়াক ওয়ে-সম্বলিত মনোমুগ্ধকর লেক। রয়েছে সাইকেল ট্র্যাক, সেন্ট্রাল পার্ক, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের গলফ কোর্সসহ সবুজের নানা আয়োজন। বলা যায়, জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের ছুটির দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না; অবসর এলেই বাইরে হেঁটে এসে মনস্থির করা যাবে অনায়াসে। আর এ জন্যই জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পের বিভিন্ন সেক্টরে ২০টির বেশি আবাসন প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যেই ‘শেলটেক আস্থা’, ‘শেলটেক অবকাশ নীড়’সহ ১৬০টির বেশি অ্যাপার্টমেন্টের নির্মাণকাজ শুরু করেছে শেলটেক (প্রা.) লিমিটেড। এই অ্যাপার্টমেন্টগুলোর লোকেশন নির্বাচন করা হয়েছে যেন বাড়ির কাছেই লেকসাইড ওয়াক ওয়ে, সেন্ট্রাল পার্ক, গলফ কোর্স ইত্যাদি পাওয়া যায়। জলসিঁড়ি আবাসনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে শেলটেকও বিশ্বাস করে, প্রাকৃতিক বৈষম্যের আধুনিক অঞ্চল পারে একটি উন্নত ও সুস্থ প্রজন্ম উপহার দিতে।

প্রকৃতি ও সবুজের মধ্যেই শুধু সীমাবদ্ধ নয় এই স্মার্ট প্রকল্প। বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রয়েছে বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিস্তীর্ণ খেলার মাঠ এবং পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য রয়েছে আধুনিক ও সুবিশাল সেন্ট্রাল মসজিদ। এই প্রকল্পের নকশায় যুক্ত আছে একটি আধুনিক সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট (সিবিডি), যেখানে থাকছে বিশ্বের মানসম্পন্ন ব্যবসায়িক সুবিধা এবং কমিউনিটি পরিষেবা। এ ছাড়া এই প্রকল্পে থাকছে বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল। যেহেতু শেলটেকের অ্যাপার্টমেন্টগুলো এসব লোকেশনের খুব কাছে, তাই আগামীর শেলটেক বাসিন্দাদের জন্য সবচেয়ে আধুনিক জীবনমানের পথিকৃৎ হতে চলেছে জলসিঁড়ি আবাসন।

উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে শেলটেক বহুকাল ধরে নির্মাণ করে যাচ্ছে দেশসেরা অ্যাপার্টমেন্ট
ছবি: শেলটেকের সৌজন্যে

রাজউকের সব বিধিমালা মেনে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে শেলটেক বহুকাল ধরে নির্মাণ করে যাচ্ছে দেশসেরা অ্যাপার্টমেন্ট। সিঙ্গেল ইউনিটের ২ হাজার ৭০০-২ হাজার ৮০০ স্কয়ার ফুটের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে থাকছে বিশ্বমানের সব সুযোগ-সুবিধা। এ ফ্ল্যাটগুলোর সঙ্গে রয়েছে নান্দনিক লাউঞ্জ, মনোমুগ্ধকর জেন গার্ডেন, বসার ব্যবস্থাসহ সুসজ্জিত ছাদবাগান, কমিউনিটি হলরুম, রিসিপশনসহ নানাবিধ সুবিধা। শিগগিরই শেলটেকের আবাসনগুলোর স্থায়ী নিবাসীরা নির্মল পরিবেশের আধুনিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এবং শেলটেক (প্রা.) লিমিটেডের মধ্যে রয়েছে এক আত্মিক মিল! নানা ঐতিহ্যের সাক্ষী শেলটেকও গুরুত্ব দেয় প্রকৃতি ও আধুনিকতার মিশেল এক নগরীকে। আর তাই প্রকল্পের শুরু থেকে সময়োপযোগী আধুনিক ঢাকার অংশ হতে পা বাড়ায় শেলটেক (প্রা.) লিমিটেড। সম্ভাবনার এই নতুন দিগন্ত অন্বেষণে যে কেউ চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। আর এই নতুন ঢাকায় আপনারা সবাই আমন্ত্রিত।

বিস্তারিত জানতে কল করুন শেলটেকের হটলাইন ১৬৫৫০ নম্বরে।

জলসিঁড়িতে শেলটেকের প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন ভিডিওটি