বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯, বেশি মারা গেছে ফেনীতে

কলাগাছের ভেলায় করে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বন্যাকবলিত কয়েকজনকে। ২৩ আগস্ট বেলা তিনটার দিকে ফেনী সদরের খাইয়ারা বাজার এলাকায়ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। গতকাল শুক্রবারের তুলনায় মৃতের সংখ্যা পাঁচজন বেড়ে আজ শনিবার পর্যন্ত ৫৯ জনের মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। নতুন করে যে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তারা সবাই শিশু। আর বন্যায় সবচেয়ে মারা গেছে ফেনীতে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১১টি জেলার ৬৮টি উপজেলা বন্যাপ্লাবিত হয়েছে। জেলাগুলো হলো ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট।

মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ফেনীতে ২৩, কুমিল্লায় ১৪, নোয়াখালীতে ৯, চট্টগ্রামে ৬, কক্সবাজারে ৩, খাগড়াছড়িতে ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১ ও মৌলভীবাজারে ১ জন রয়েছেন। মৌলভীবাজারে একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

পানিবন্দী বা ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের জন্য মোট ৩ হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন মানুষ এবং ৩৬ হাজারের বেশি গবাদিপশুর আশ্রয় মিলেছে।

বন্যা পরিস্থিতির কথা জানাতে গিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।