চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের ‘নির্যাতনের’ শিকার চার ছাত্রের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ওই দুই ছাত্রকে গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার কাউকে কিছু না বলার এ হুমকি দেওয়া হয়।
চিকিৎসাধীন এই দুই ছাত্র হলেন জাহিদ হোসেন ও সাকিব হোসেন। যাঁদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিষয়ে আহত শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা মুখ খুলতে নারাজ।
সর্বশেষ শনিবার সকালে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় আইসিইউতে গিয়ে কয়েকজন হুমকি দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সাকিবের খালাতো ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ‘সাকিব আগের চেয়ে ভালো। বিভিন্ন লোকজন দেখা করতে এসেছে। জানি না কারা।’
ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত সন্দেহে গত বুধবার রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে চার ছাত্রকে পর্যায়ক্রমে পেটানো হয়।
সর্বশেষ শনিবার সকালে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় আইসিইউতে গিয়ে কয়েকজন হুমকি দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সাকিবের খালাতো ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ‘সাকিব আগের চেয়ে ভালো। বিভিন্ন লোকজন দেখা করতে এসেছে। জানি না কারা।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীপন্থী ছাত্রলীগের পক্ষ এই শিক্ষার্থীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। চমেকের বাইরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবু রাইয়াত ও নারায়ণগঞ্জে মোবাশ্বির হোসেন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চমেকে চিকিৎসাধীন জাহিদ হোসেনের বাবা ফরহাদ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব লিখে কী হবে। আমার ছেলে এখন আগের চেয়ে ভালো আছে।’
জানতে চাইলে চমেকের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। আইসিইউতে হুমকির বিষয়ে তিনি অবগত নন।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ওই চার ছাত্রকে ছাত্রাবাসের নিজ নিজ কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাঁদের অন্য একটি কক্ষে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। রাইয়াত ও মোবাশ্বির বাড়িতে চলে গেলেও জাহিদ ও সাকিব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। তখন ঘটনা জানাজানি হয়।