দেশে সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

‘ধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে, ভারতীয় প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে’ ধর্মীয় প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনছবি: সংগৃহীত

ভারতের অপপ্রচারের মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে দাঙ্গা লাগাতে চায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে ও দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এক থাকতে হবে।

শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন আয়োজিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে, ভারতীয় প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে’ এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মীয় প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।

একটি কুচক্রী মহল সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দয়াল কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা একটি সম্প্রীতির দেশে বসবাস করি। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এই ষড়যন্ত্র রুখতে আমাদের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানে অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা করতে হবে। যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে সব ধর্মের মানুষকে ইনক্লুড (সম্পৃক্ত) করতে হবে। ধর্মীয় নেতাদের সম্প্রীতির ডাক দিতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকেও ভূমিকা রাখতে হবে।’

দয়াল কুমার বলেন, ভারতের ৫০টির বেশি মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা যা দেখাচ্ছে, এমন কিছুই ঘটছে না। যদি ঘটত, তাহলে গত দুর্গাপূজা করা সম্ভব হতো না। বৌদ্ধদের উপাসনালয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণও নেই। তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিষ্টান নিয়ে কোনো সংগঠন হলে সেখানে মুসলিম কেন থাকবে না! এমন হলে সম্প্রীতি নষ্ট হবে। সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

পাহাড়ি সম্প্রদায়ের নেতা থোয়াইচিং মং চাক বলেন, ‘একাত্তরে জাতি–ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সকলে অস্ত্র হাতে নিয়েছিলাম। চব্বিশেও আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে তাড়াতে একত্র হয়েছি। আমরা দেখিনি কে হিন্দু কে মুসলিম। কিন্তু হাসিনাকে তাড়ানোর পর ভারতের প্রোপাগান্ডা কল্পনাতীত।’

সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ফজলে রাব্বী বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাচ্ছে। ভারতের বিজেপি সরকার এবং আরএসএস আমাদের মধ্যে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে।’

সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক মো. ফুয়াদ সাকী বলেন, বাংলাদেশে কোনো ধর্মীয় ভেদাভেদ নেই। ভারত এই সম্প্রতি নষ্টের চেষ্টা করছে। এর জন্য তারা ধর্মকে ব্যবহার করছে।