ন্যায্যতার ক্ষেত্রে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে প্রথাগত চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

দুই দিনব্যাপী আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিইব)রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশের (রিইব) ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।

রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশের (রিইব) নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেছেন, লিঙ্গ ও পরিবেশগত ন্যায্যতার ক্ষেত্রে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে প্রথাগত চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কার্যকর নীতিমালায় রূপান্তরমূলক ন্যায়বিচার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী আঞ্চলিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মেঘনা গুহঠাকুরতা। রিইব লিঙ্গভিত্তিক ও পরিবেশগত ন্যায্যতার মধ্যে সম্পর্ক, ন্যায়ের জন্য পদ্ধতিগত পরিবর্তন এবং লিঙ্গ সংবেদনশীল জলবায়ু অভিযোজনবিষয়ক এ আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের কর্মী, নীতিনির্ধারক ও পেশাজীবীরা একত্র হয়েছেন।

প্রথম দিনের সম্মেলনের প্রধান অতিথি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের চেয়ারপারসন শিরিন হক তাঁর বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ সম্মেলন থেকে আসা বিভিন্ন মতামত কমিশনে তুলে ধরবেন এবং নীতিগত পর্যায়ে তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বিবেচনা করবেন বলে উল্লেখ করেন।

আলোচনায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, লিঙ্গ অন্তর্ভুক্তি ও ন্যায্যতার জন্য বিদ্যমান কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে তা ন্যায়বিচারের কাঠামোকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে।

সম্মেলনে আলোচকেরা বলেন, সামাজিক ন্যায্যতা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। পরিবেশগত ন্যায্যতার মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশের সুরক্ষা সবার জন্য সমানভাবে নিশ্চিত হবে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগণের জন্য যারা পরিবেশগত বিপর্যয়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। এই দুটি ন্যায্যতা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং একে অপরকে সমর্থন করে।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক ফেরদৌস আজিম, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন, রিইবের চেয়ারম্যান শামসুল বারী, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভিনোদ কষ্টি, প্রকল্প কো–অর্ডিনেটর সুরাইয়া বেগম, ভারতের এন মনিমেকালাই, নেপালের দর্শন কার্কি প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।