কেউ যেন লুটপাটের সুযোগ না পায়: নাহিদ ইসলাম

গণ–আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম একটি টেলিভিশনে কথা বলেছেন নাহিদ ইসলামসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয়জন সমন্বয়কছবি: টিভি থেকে নেওয়া

বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেউ যেন লুটপাটের সুযোগ না পায়, তা নিশ্চিত করতে ছাত্র–জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। রাজপথে অবস্থান নেওয়া ছাত্র–জনতার উদ্দেশে লুটপাটকারীদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয়জন সমন্বয়ক। সেখানে বক্তব্যে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র–জনতাকে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে অবস্থানের আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম।

লুটপাটকারীদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। এই সুযোগে কেউ যেন লুটপাটের সুযোগ না পায়।’

নাহিদ ইসলাম তাঁদের আন্দোলনের লক্ষ্য হিসেবে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে নিপীড়নমূলক যেসব ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলো সংশোধনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ছাত্র–শিক্ষক–সুশীল সমাজসহ অন্যদের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চান তাঁরা। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেমন হবে, তার একটি রূপরেখা আজ রাত আটটায় কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সমন্বয়কেরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আজ দুপুরে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসনের অবসান হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জনগণের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন দেশের সব কার্যক্রম চলবে। পরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান অতি শিগগির ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসবেন।

আন্দোলন সফল হওয়ার জন্য দেশের আপামর জনসাধারণকে কৃতিত্ব দিয়েছেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, আজকে যা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ ক্রেডিট বাংলাদেশের মানুষের। বাংলাদেশের আপামর জনতা ফ্যাসিবাদ উৎখাত করার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে। সে কারণেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।