ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে কোন দলের ব্যয় কত: ডিআরএলের গবেষণা
ফেসবুকে অনেকে অস্বচ্ছ তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, যা অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্যের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিরা ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে এক বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো রাজনৈতিক দল ও দলগুলোর নেতারা বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার চালাচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বল্পপরিচিত পেজ থেকে রাজনৈতিক প্রচারও চালানো হচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ফেসবুকের নীতি অনুযায়ী বিজ্ঞাপনদাতারা স্বচ্ছতার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিচ্ছেন না, অর্থাৎ বিজ্ঞাপনের একটি বড় অংশ দেওয়া হচ্ছে ভুতুড়ে প্রক্রিয়ায়। বিজ্ঞাপনটি কারা দিচ্ছেন, তাঁদের ঠিকানা কোথায়—এসব জানা যাচ্ছে না। ফলে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্যের ঝুঁকি বাড়ছে। সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে।
ডিজিটালি রাইট লিমিটেডের (ডিআরএল) একটি গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। ডিজিটালি রাইট তথ্য ব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে। বাংলাদেশে ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপননীতির বাস্তবায়ন পর্যালোচনা নিয়ে তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি আজ সোমবার প্রকাশ করা হবে।
গবেষণায় ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশে কে কত টাকা ব্যয় করে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ফেসবুকের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটার ব্যবস্থা কতটুকু কার্যকর ইত্যাদি বিষয়েও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
গবেষণায় বিজ্ঞাপনের ৩১৪টি স্বচ্ছতার ঘোষণা (ডিসক্লেইমার) বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই বিজ্ঞাপনটির জন্য অর্থ ব্যয় করা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার পর্যাপ্ত তথ্য নেই। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ ক্ষেত্রে ঠিকানা হিসেবে শুধু জেলার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট ঠিকানা নেই।
গবেষণায় ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশে কে কত টাকা ব্যয় করে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ফেসবুকের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটার ব্যবস্থা কতটুকু কার্যকর ইত্যাদি বিষয়েও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
ডিজিটালি রাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও এই গবেষণার গবেষক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রচার চলছে। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন। পোস্টার টাঙাচ্ছেন। ভোটাররা জানতে পারছেন, কোন প্রার্থীর পক্ষে কী বলা হচ্ছে। ভার্চ্যুয়াল জগতে বিজ্ঞাপনদাতার সম্পর্কে যদি সঠিক তথ্য না থাকে, তাহলে মানুষ জানতে পারে না কোন বিজ্ঞাপন কে দিচ্ছে।
ডিজিটালি রাইটের গবেষণায় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এক বছরে ১০০ মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া ৩৫৫টি ফেসবুক পেজকে। এর মধ্যে ৭২টি পেজ নিজেরাই নিজেদের রাজনৈতিক শ্রেণিতে রেখেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়। ওই বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে ৮ কোটি ৭০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য ব্যবহার করা হয়। প্রচারের ক্ষেত্রে একটি কৌশল ছিল এমন যে উদারপন্থী ভোটারদের লক্ষ্য করে দেওয়া বিজ্ঞাপনে ট্রাম্পের শুধু উদার মানসিকতার দিকগুলো তুলে ধরা হতো। আর কট্টরপন্থীদের কাছে ট্রাম্পের কট্টর দিকগুলো তুলে ধরা হতো।
ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। তখন ফেসবুককে মার্কিন কংগ্রেসে জবাবদিহি ও জরিমানার মুখে পড়তে হয়। তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাও বাদ যায়নি। পরে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে।
২০১৮ সালের ২৪ মে মেটা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপননীতি প্রয়োগ শুরু করে, যেখানে বিজ্ঞাপনদাতাকে বাধ্যতামূলকভাবে স্বচ্ছতার ঘোষণা দিতে বলা হয়। স্বচ্ছতার ঘোষণার মধ্যে কে বিজ্ঞাপনের জন্য অর্থ দিচ্ছেন, তাঁর নাম, ঠিকানা, ওয়েবসাইটের ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি থাকতে হয়।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তারা বিএনপির সব বক্তব্য অথবা বক্তব্যের পুরোটা প্রচার করতে পারে না। তাই বিএনপি দুই ফেসবুক পেজসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়।বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
কার কত ব্যয়
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন নিয়ে তথ্য থাকে মেটা অ্যাড লাইব্রেরিতে। মেটা গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বাবদ অর্থ আয়ের হিসাব দেওয়া শুরু করে। বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ কোটি টাকার কিছু বেশি।
ডিজিটালি রাইটের গবেষণায় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এক বছরে ১০০ মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া ৩৫৫টি ফেসবুক পেজকে। এর মধ্যে ৭২টি পেজ নিজেরাই নিজেদের রাজনৈতিক শ্রেণিতে রেখেছে। বাকি ২৮৩টি পেজ ৪৩ হাজার ৬৩০টি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে, যার মধ্যে ১ হাজার ৪২০টিকে নমুনা হিসেবে নিয়েছেন গবেষকেরা।
ডিজিটালি রাইট আরও জানিয়েছে, তারা অতিরিক্ত ৬৮৩টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করেছে, যেগুলো প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে স্বচ্ছতার অভাবে। প্রচার বন্ধের বিষয়ে মেটার পর্যালোচনায় থাকা আরও ৫০টি বিজ্ঞাপন ডিজিটালি রাইটের বিশ্লেষণে এসেছে।
এখন সময় বদলে গেছে। প্রচারের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেটাকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, সাধারণ প্রচারে মাইক ভাড়া করতে যেমন অর্থ ব্যয় হয়, তেমনি ফেসবুকে বার্তা বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে কিছু অর্থ ব্যয় করতে হয়। এটা স্বাভাবিক বিষয়।আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান
ডিজিটালি রাইটের গবেষণায় উল্লেখ করা মেটার তথ্যে দেখা যায়, নিজেদের সরাসরি রাজনৈতিক শ্রেণিতে রেখে বিজ্ঞাপন দেওয়া শীর্ষ ১০ পেজের মধ্যে রয়েছে বিএনপি মিডিয়া সেল ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি)। এই দুটি পেজ থেকে দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ডলারের বিজ্ঞাপন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮ লাখ টাকার সমান।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তারা বিএনপির সব বক্তব্য অথবা বক্তব্যের পুরোটা প্রচার করতে পারে না। তাই বিএনপি দুই ফেসবুক পেজসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পেজ থেকে দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৮৫৬ ডলারের বিজ্ঞাপন (৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা)।
আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রথম আলোকে বলেন, এখন সময় বদলে গেছে। প্রচারের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেটাকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, সাধারণ প্রচারে মাইক ভাড়া করতে যেমন অর্থ ব্যয় হয়, তেমনি ফেসবুকে বার্তা বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে কিছু অর্থ ব্যয় করতে হয়। এটা স্বাভাবিক বিষয়।
রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে বেশি ব্যয় করা পেজের মধ্যে আরও রয়েছে প্রেস এক্সপ্রেস, বিডি পিপলস ভয়েস, যদি কিন্তু তবুও, ভালোর পথে, আমার নেত্রী আমার অহংকার, এটুআই, বাংলার সমাচার, পিপলস ভয়েস, পজিটিভ বাংলাদেশ ইত্যাদি।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ রয়েছেন রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতাদের শীর্ষ তালিকায়। তিনি ব্যয় করেছেন ৭ হাজার ৫৪৪ ডলার (প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা)। জুনাইদ আহ্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, তরুণেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই বেশি সক্রিয়। তাদের কাছে পৌঁছাতে তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে বেশি ব্যয় করা পেজের মধ্যে আরও রয়েছে প্রেস এক্সপ্রেস, বিডি পিপলস ভয়েস, যদি কিন্তু তবুও, ভালোর পথে, আমার নেত্রী আমার অহংকার, এটুআই, বাংলার সমাচার, পিপলস ভয়েস, পজিটিভ বাংলাদেশ ইত্যাদি।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিএনপির দুটি পেজ রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ব্যয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও সম্মিলিতভাবে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচার বেশি। বিভিন্ন পেজ থেকে রাজনৈতিক প্রচার চালানো হয়, যা সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষে যায়।
গবেষক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার একটি স্বাভাবিক বিষয়। সমস্যা তখনই হয়, যখন বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে কে টাকা দিচ্ছে, সেই ঘোষণায় অস্বচ্ছতা থাকে। স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দায়িত্ব প্ল্যাটফর্মের।
ডিজিটালি রাইট জানাচ্ছে, তারা যে ১ হাজার ৪২০টি বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করেছে, তার মধ্যে ২৫ শতাংশকে ভুলভাবে রাজনৈতিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঠিকানার ঠিক নেই
রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে ফেসবুকে চার ধরনের তথ্য দিতে হয়। ডিজিটালি রাইট বলছে, তারা ৩১৪টি বিজ্ঞাপনের দাতার ঘোষণা (ডিসক্লেইমার) বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ৯টি ক্ষেত্রে কোনো ধরনের তথ্য দেওয়া হয়নি। তবু বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে ফেসবুক। ১০টি ক্ষেত্রে শুধু ফোন নম্বর ও জায়গার (লোকেশন) নাম দেওয়া হয়েছে, যা অপর্যাপ্ত। আটটি বিজ্ঞাপনদাতার ওয়েবসাইটের ঠিকানা নেই। দুটি তাদের ঠিকানা দেয়নি।
মেটার বিজ্ঞাপননীতিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনের জন্য অর্থদাতার ফোন নম্বর, ই-মেইল, ওয়েবসাইট ও ঠিকানা সঠিক ও কার্যকর হতে হবে। কিন্তু ডিজিটালি রাইট দেখেছে, ৩১৪টির মধ্যে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ঠিকানা অস্পষ্ট ও প্রয়োজনীয় তথ্যহীন।
বিজ্ঞাপনের শ্রেণি চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে মেটার ভুলও পেয়েছে ডিজিটালি রাইট। কোনো কোনো অরাজনৈতিক বিজ্ঞাপনকে তারা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনকে অরাজনৈতিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ডিজিটালি রাইট জানাচ্ছে, তারা যে ১ হাজার ৪২০টি বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করেছে, তার মধ্যে ২৫ শতাংশকে ভুলভাবে রাজনৈতিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ডিজিটালি রাইটের গবেষকেরা চার মাসের চারটি দিনে ৩০টি শব্দ দিয়ে খোঁজ (সার্চ) করে অরাজনৈতিক শ্রেণিতে থাকা ৫০টি বিজ্ঞাপন পেয়েছেন, যেগুলো পুরোপুরি রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। মেটার অ্যালগরিদম এসব বিজ্ঞাপন রাজনৈতিক হিসেবে শনাক্তে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। যদিও বিজ্ঞাপনগুলো ৪৮ শতাংশ এসেছে সরাসরি রাজনীতিবিদদের পেজ থেকে।
কুতথ্য সমাজে আগে থেকেই ছিল। ফেসবুকের মতো মাধ্যম আসার পর সেটা যেন জলোচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের সময় পরস্পরবিরোধী পক্ষগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে কুতথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শান্তনু মজুমদার
‘কুতথ্যের জলোচ্ছ্বাস’
বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩২ লাখের বেশি। ফেসবুকে অনেক অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয় করে তা বেশি মানুষের কাছে ছড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শান্তনু মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, কুতথ্য সমাজে আগে থেকেই ছিল। ফেসবুকের মতো মাধ্যম আসার পর সেটা যেন জলোচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের সময় পরস্পরবিরোধী পক্ষগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে কুতথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।
শান্তনু মজুমদার মনে করেন, কুতথ্য ছড়ানো থামিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। দরকার সচেতনতা তৈরি ও মানুষের আচরণগত পরিবর্তন, যাতে ফেসবুকে কিছু দেখলেই তাঁরা বিশ্বাস না করেন।