সিডনিতে বাংলাদেশি তরুণীকে হত্যায় স্বামীর সাড়ে ২১ বছর দণ্ড

আরনিমা হায়াতছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণী আরনিমা হায়াতকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামীকে সাড়ে ২১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত এ আদেশ দেন।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে আরনিমাকে (১৯) হত্যা করে তাঁর লাশ অ্যাসিডভর্তি বাথটাবে ফেলে রেখে চলে যান স্বামী মিরাজ জাফর (২৩)। ওই ঘটনার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরনিমা হায়াতকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী মিরাজ জাফরকে ২১ বছর ৬ মাস কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সিডনিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডেবোরাহ সুইনি আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।

সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার আগে হত্যাকারী মিরাজ জাফরকে ভার্চ্যুয়ালি আদালতে হাজির করা হয়। শাস্তির রায় শুনে তিনি মাথায় হাত দিয়ে নিজের পায়ের দিতে তাকিয়ে থাকেন।

আরনিমার মা–বাবা এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। বাবা আবু হায়াত হত্যাকারীর উদ্দেশে বলেন, ‘তুমি আমার মেয়েকে হত্যা করেছ, আমরা ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিয়েছ, আমার পরিবারকে তছনছ করে দিয়েছ।’

পরিবারের অমতে মিরাজ জাফরকে বিয়ে করেন আরনিমা হায়াত। আরনিমা সন্তানসম্ভবা ছিলেন। আরনিমার বাবা আবু হায়াত ও মা মাহাফুজা হায়াত ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তাঁদের মূল বাড়ি বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জে। আরনিমা ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ছিলেন। এর আগে সিডনির একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক শেষ করেন তিনি।

আরও পড়ুন