পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট

প্রতীকী ছবি

দেশের সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ বুধবার রিটটি করা হয়। ছয় মাস বয়সী শিশু নুবাইদ বিন সাদী ও তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান আবেদনকারী হয়ে এই রিটটি করেন।

রিটের প্রার্থনা অনুসারে, সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিতে নির্দেশিকা বা নীতিমালা বা যথাযথ আইনি বিধান প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিতে নির্দেশিকা বা নীতিমালা বা যথাযথ আইনি বিধান কেন করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুজন সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনের ভাষ্য, বিশ্বের প্রায় ৭৮টি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদন এসেছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার দেশে অনেক বেশি। তাই জন্ম নেওয়ার পর নবজাতক ও তার মা অনেকটা নাজুক অবস্থায় থাকেন। ন্যূনতম অবহেলায় তাঁদের অবস্থা সংকটাপন্ন হতে পারে। এই সময় নবজাতক ও তার মায়ের দেখাশোনার জন্য বাবা সর্বোত্তম বিকল্প। কর্মজীবী বাবার ক্ষেত্রে পিতৃত্বকালীন ছুটি না থাকায় নবজাতক ও তার মায়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পিতৃত্বকালীন ছুটির অনুমতি দেয় না, যা বৈষম্যমূলক।

রিট করার বিষয়টি জানিয়ে আজ আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি থাকলেও দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান নেই। পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান না থাকা আইনের দৃষ্টিতে সমতাসংক্রান্ত অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের বেশ কয়েকটি অনুচ্ছেদের (৭, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩২) সঙ্গে সাংঘর্ষিক। হাইকোর্টে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।