পরম যত্নে লালন-পালন করা ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘বড় ভাই’। কালো রঙের ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৯ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। ষাঁড়টির ওজন প্রায় ২৫ মণ বলে জানিয়েছেন মালিক। এবার ঈদুল আজহার পশুর হাটে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভা সদরের ভোয়ালিয়া পাড়া এলাকায় মো. নাজিম উদ্দিনের পশুর খামারে প্রস্তুত করা হয়েছে ষাঁড়টি। উপজেলার বড় ষাঁড়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। তাই প্রতিদিন ষাঁড়টি দেখতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে লোকজন ভিড় করছেন।
আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে নাজিম উদ্দিনের খামারে গিয়ে দেখা গেছে, খামারটি সাতকানিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। খামারে মো. মনসুর আলম নামের এক কর্মী ছোট-বড় ১৭টি গরুর পরিচর্যা করছেন। জানতে চাইলে মো. মনসুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, খামারে ১২টি বড় আকারের ও পাঁচটি ছোট আকারের গরু আছে। সবচেয়ে বড় কালো রঙের বড় ভাই নামের গরুটি। এটিকে আলাদাভাবে খাবার দেওয়া হয়। খড়, কাঁচা ঘাস, ভুসি, তৈলবীজের খইল, ভুট্টা ও ডালের গুঁড়া খাওয়ানো হয় গরুটিকে। এতে প্রতিদিন গরুটির পেছনে প্রায় ৮০০ টাকা খরচ হয়।
খামারি মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম নগরের একটি হাট থেকে এক বছর আগে গরুটি কিনেছিলেন তিনি। তখন ওজন ছিল প্রায় দেড় মণ। উপজেলায় এটিই সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি তাঁর। তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বুধবার চট্টগ্রামের সাগরিকা বাজারে পবিত্র ঈদুল আজহার পশুর হাটে গরুটি বিক্রির জন্য তোলা হবে। প্রতিদিন গরুটি দেখতে এলাকা ও আশপাশের এলাকার লোকজন ভিড় করছেন। ইতিমধ্যে দুজন ক্রেতা ছয় লাখ টাকায় গরুটি কিনে নিতে চেয়েছেন। আমি ১০ লাখ টাকা দাম বলেছি। খামারে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা দামের গরুও আছে।’
উপজেলার মাদার্শা ও ছিটুয়াপাড়া থেকে মো. নাজিম উদ্দিনের পশুর খামারে গরু দেখতে আসা কয়েকজন তরুণের সঙ্গে কথা হয়। মাদার্শার বাসিন্দা আবরার হোসাইন বলেন, খামারে বড় ভাই নামের বিশাল আকারের একটি গরু কোরবানির ঈদে বিক্রি হবে শুনে তিনি দেখতে এসেছেন। গরুটি আসলেই দেখতে অনেক সুন্দর।
সাতকানিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলায় মো. নাজিম উদ্দিন ও হোসাইন এগ্রো নামের দুটি খামারে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য বড় আকারের গরু লালন-পালন করা হয়। এবার নাজিম উদ্দিনের খামারে থাকা কালো রঙের ষাঁড়টি আকারে বেশ বড়, দেখতেও সুন্দর।