অনগ্রসর অঞ্চলে অতি দারিদ্র্য কমাতে মনোযোগ রাখতে হবে

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত কর্মশালায় অতিথিরা। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পিকেএসএফ ভবনেছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশে গত পাঁচ দশকে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও মানবিক বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হয়েছে। তবে হাওর ও উপকূলীয় এলাকার মতো দেশের অনগ্রসর অঞ্চলগুলোতে অতি দারিদ্র্যের হার এখনো বেশি। সেখানে দারিদ্র্য কমাতে বিশেষ মনোযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।

ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এসব কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, বাংলাদেশের পুরোনো উন্নয়ন অংশীদার ইইউ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ইইউ।

আজ রোববার পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত কর্মশালার সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে চার্লস হোয়াইটলি এসব কথা বলেন। ইইউর অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন পিকেএসএফের ‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ)’ প্রকল্প নিয়ে কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়। এটি ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অতি দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর পেছনে সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সহায়তা কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।

পিকেএসএফের চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, দারিদ্র্য দূর করতে পিকেএসএফের যত অভিজ্ঞতা ছিল, সব কাজে লাগিয়ে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করা হয়। এ প্রকল্পের অগ্রগতি আশাজাগানিয়া, তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা ও লবণাক্ততার প্রকোপ মোকাবিলার মতো কঠিন বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করা হয়, যা একই সঙ্গে সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রকল্পের সুফলভোগীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে আসা আবদুস সামাদ বলেন, তিনি পিকেএসফের প্রকল্পের মাধ্যমে গবাদিপশুর চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন উপকরণ ও ঋণ পেয়েছেন। তাঁর স্ত্রী গর্ভাবস্থায় পেয়েছেন চিকিৎসা পরামর্শ। তিনি আরও বলেন, এখন তিনি গ্রামের বাজারে গবাদিপশুর চিকিৎসাকেন্দ্র খুলেছেন। সেখান থেকে ভালো আয় হচ্ছে। গত জুনে তিনি ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।