রিজেন্টের সাহেদের যাবজ্জীবন দণ্ড থেকে খালাসের রায় স্থগিত

সাহেদ করিমছবি: সংগৃহীত

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মো. সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। এই সাজার বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ১১ জানুয়ারি হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন। খালাস পান সাহেদ।

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। সাহেদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শাহ মঞ্জুরুল হক।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে সাহেদকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের করতে বলা হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

ওই মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রায় দেন ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল। রায়ে অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় সাহেদকে যাবজ্জীবন ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন সাহেদ।

২০২০ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালান র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাসপাতাল থেকে করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র‍্যাব বাদী হয়ে সাহেদসহ ১৭ জনের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে। মামলার ৯ দিনের মাথায় একই বছরের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর তাঁকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় র‍্যাব অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই মামলা করে।