ছাগল–কাণ্ড: ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সচল হয়েছে সাইয়েদ আবদুল্লাহর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহ অনুসন্ধান করে বের করেন যে ১২ লাখ টাকার ছাগলের বায়না করা তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত এনবিআরের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানছবি: সংগৃহীত

ছাগল-কাণ্ড সামনে আনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহর স্থগিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সচল হয়েছে। ফেসবুকের নীতিমালা বা কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তিন দিন আগে তাঁর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছিল ফেসবুক।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় ফেসবুক সচল দেখতে পান সাইয়েদ আবদুল্লাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর অ্যাকাউন্টের অনুসারী ও ফেসবুকের বন্ধুদের অনেকেই তাঁর অ্যাকাউন্টটি সচল দেখতে পেয়ে তাঁকে জানান। তখন তিনিও চেষ্টা করে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারেন। তবে অ্যাকাউন্ট সচল করার বিষয়ে ফেসবুক থেকে তাঁকে কোনো নোটিফিকেশন দেওয়া হয়নি বা কিছু জানানো হয়নি।

পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ১২ লাখ টাকার ছাগলের বায়না করা তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাতের কর্মকাণ্ড, তাঁর পরিচয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (পরে সরিয়ে দেওয়া) মো. মতিউর রহমানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে একাধিক পোস্ট দিয়েছিলেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ।

পরে মতিউর গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, মুশফিকুর তাঁর ছেলে নন। কিন্তু সাইয়েদ আবদুল্লাহর অনুসন্ধান ও গণমাধ্যমের খবরে বেরিয়ে আসে মুশফিকুর এনবিআরের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে মতিউর পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য উঠে আসছে। সরকারও মতিউরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সাইয়েদ আবদুল্লাহর অ্যাকাউন্ট স্থগিতের বিষয়ে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা সাড়া দেয়নি।

আরও পড়ুন