কোনো দেশ কি চিকিৎসার জন্য বন্দীকে বিদেশে পাঠায়: খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের দপ্তরে আজ রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা জানি না কোনো দেশ বন্দীকে (প্রিজনার) বিদেশে পাঠায় কি না।’ আজ রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে কি না জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা জানি না কোনো দেশ প্রিজনারকে বিদেশে পাঠায় কি না।’

প্রশ্নকারী সাংবাদিকের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি কি জানেন কোনো দেশ তার দেশের প্রিজনারকে (বন্দী) চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়? যদি পাঠিয়ে থাকে, আমাকে বইলেন। এখানে দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা তাঁকে দেওয়া হচ্ছে। আর প্রিজনারকে বিদেশে পাঠায় কি না, আমার জানা নেই। আপনি যদি জানতে পারেন, তাহলে উই উইল ওয়েলকাম।’

খালেদা জিয়া ১১ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৯ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠাতে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। এ জন্য বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেছে দলটি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দী হন। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়।

এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। সেই থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।