শ্রম আইন নিয়ে আইএলওর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে টানা তিন দিনের আলোচনা শেষ হয়েছে এবং সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে আইএলওর ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে টানা তিন দিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই বৈঠক হয়। আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইএলওর বিশেষজ্ঞ দলসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে আইএলওর প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শুনেছি। তাদের প্রতিটি বিষয় (ইস্যু) নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি, মতবিনিময় করেছি। আমার মনে হয়, এ রকম মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, সেটি শুধু অংশীজনদের জন্যই ভালো নয়, আমার মনে হয়, এই আলোচনা আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমার মনে হয়, উভয় পক্ষের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে এবং উভয় পক্ষই সেই অবস্থা বুঝতে পেরেছে।'
আইনমন্ত্রী বলেন, আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্ট আইনটি দেখেছেন, পড়েছেন, সেখানে তাঁরা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আইএলওকে যে সহযোগিতা করার কথা, সেটি সরকার চালিয়ে যাচ্ছে। সে জন্যই মূলত তিন দিন ধরে শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে ‘এক্সারসাইজ’ করা হচ্ছে। এখানে কিছু কিছু বিষয়ে তাঁরা সংশোধনের কথা বলেছেন। যেসব বিষয় গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে জন্য এখনই এসব ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু কিছু বিষয় এসেছিল, যেগুলোর ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তাই নীতিনির্ধারক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ছাড়া কিছু কিছু বিষয় এসেছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। ওই সব বিষয় বাংলাদেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা সেখানে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা যে থ্রেসহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতির হার) ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি, তারা এটির প্রশংসা করেছেন। আমরা ২০১৭ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, এটি আমরা ক্রমে কমাব। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্রমেই কমানো হচ্ছে।’