জীবনে স্বস্তি এনেছে এসির যে প্রযুক্তি

ছবি: সংগৃহীত

জীবনযাত্রায় নানা প্রযুক্তির ব্যবহারে স্বস্তির পরশ শুধু কর্মক্ষেত্র বা বাইরেই নয়, পৌঁছেছে ঘরের মধ্যেও। এনে দিয়েছে প্রশান্তি। যেমন এত দিন আমরা রিমোট দ্বারা এসি নিয়ন্ত্রণ করতাম, এখন চাইলেই নিজ কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি।

এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, বলা হচ্ছে ভয়েস কন্ট্রোল প্রযুক্তির কথা। বর্তমানে ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে এই ‘কথা শোনা যন্ত্র’। আপনি বলবেন আর সেই অনুযায়ী কাজ করবে যন্ত্র। জীবনকে আরও সহজ করতে, আরও স্বস্তি এনে দিতে ভয়েস সার্চ টেকনোলজির মাধ্যমে এসির ব্যবহার হচ্ছে আরও আরামদায়ক।

রাতে ঘুমের ঘোরে এসির রিমোট খুঁজে হয়রান হতেন যাঁরা, তাঁদের জন্য এটা বেশ আনন্দেরই বিষয়। ইংরেজি ভাষায় এই ভয়েস কন্ট্রোল বিষয়টি তো আছেই, এবার বাংলায় নির্দেশ দেবেন মুখে, সেই অনুযায়ী কাজ করবে এসি।  হ্যাঁ, বিশ্বে প্রথম এই প্রযুক্তির এসি বাজারে এনেছে বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এই প্রযুক্তি ওয়ালটনের নিজস্ব উদ্ভাবন।

ওয়ালটন এয়ারকন্ডিশনারের ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রাহমান বলেন, প্রথমবারের মতো ২০২১ সালে অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল প্রযুক্তির এসি বাজারে আনে ওয়ালটন। 'ওশেনাস সিরিজে'র ওয়ালটনের এই এসি ইংরেজিতে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই এসি বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে ওয়ালটনের ‘কথা বলা এসি’ জনগণের খুব আগ্রহের বিষয় হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলায় নির্দেশনা দেওয়া এসি বাজারে আনে ওয়ালটন। ‘স্বাগতম ওয়ালটন’ বললেই এই প্রযুক্তির এসি সচল হয়ে ওঠে। ‘এসি চালু’ বললেই সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হবে। আবার ‘এসি বন্ধ’ বললে নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের বাজারে এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ড নিয়ে আসছে ভয়েস কন্ট্রোল প্রযুক্তিসমৃদ্ধ এসি। যমুনা ইলেকট্রনিকসও তাদের মধ্যে অন্যতম। তাদের অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এয়ারকন্ডিশনারে কোনোরকম ইন্টারনেট সংযোগ, ভয়েস আইওটি ডিভাইস এমনকি রিমোট কন্ট্রোলারও দরকার হয় না। কথা বলা যায় সরাসরি। যমুনা ভয়েস কন্ট্রোল এসিতে রয়েছে হাইলি অ্যাকুরেট ভয়েস রিকগনাইজার ডিভাইস। এর সঙ্গে আছে ৯৫ শতাংশ ফাস্টার ওয়েকআপ সেন্সর। এই সেন্সরের জন্যই মুখের কথায় বাধাহীনভাবে এসি কন্ট্রোলের এক ইন্টারঅ্যাকটিভ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে পারবেন আপনি।

এ বিষয়ে ওয়ালটন এয়ারকন্ডিশনারের ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রাহমান আরও বলেন, ‘গৃহস্থালি যন্ত্রাদির ক্ষেত্রে আমরা এখন দেখি, মানুষ কত সহজে তাদের প্রতিদিনের জীবনযাপন করতে পারে। নাভিশ্বাস ওঠা কর্মব্যস্ততা শেষে প্রিয় বাসাবাড়িতে ফিরে জীবনটা যেন একটু সহজ ও স্বস্তির হয়—সেই চিন্তা থেকেই আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হচ্ছে।

ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালি যন্ত্রপাতিগুলো সহজ অপারেটিংয়ের মাধ্যমে যেন চালানো যায়—এটাই এখন প্রযুক্তিবিদদের ভাবনার অন্যতম প্রধান বিষয়। এসি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আর রিমোটের প্রয়োজন নেই—ভাবনাটাই তো চমকপ্রদ! যখন যেভাবে চান, নির্দেশ করলেই যন্ত্রটি আপনার মুখের কথায় কাজ করবে, এর চেয়ে স্বস্তি ও আরামের খবর আর কী হতে পারে?'