রান্নাঘরের মাচায় হাত দিতেই বিষধর সাপের ছোবল

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের শয্যায় বিবি কুলছুম। আজ বুধবার সকালেছবি: প্রথম আলো

রান্নাঘরের মাচায় রাখা লাকড়িতে হাত দিতেই ডান হাতে ছোবল মারে বিষধর সাপ। মুহূর্তের মধ্যেই যন্ত্রণায় ছটফট শুরু করেন গৃহিণী বিবি কুলছুম (৪০)। চিৎকার শুনে এগিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) দেওয়ার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেন।

কুলছুমের বাড়ি জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে বিষধর সাপটি ছোবল দেয়। এরপর প্রথমে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আজ বুধবার সকালে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁর শরীরে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করেন। কুলছুম এখন হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন।

কুলছুমের ছেলে শেখ ফরিদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মা বাড়ির রান্নাঘরের মাচায় রাখা লাকড়ি নিতে গিয়েছিলেন। মাচায় হাত দিতেই লাকড়ির ভেতরে থাকা বিষধর সাপ ছোবল দেয়। এরপর তাঁর মা যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করেন। তিনি আরও বলেন, ‘রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে সকালে মাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে আসার পর চিকিৎসকেরা অ্যান্টিভেনম দেন। এতে প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যেই মা সুস্থ হয়ে ওঠেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে শেখ ফরিদ বলেন, সাপ ছোবল দেওয়ার পর তাঁর মায়ের চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। তাই কি সাপ কামড় দিয়েছে, সেটি আর জানা সম্ভব হয়নি। মাচায় অনেক লাকড়ি থাকায় সেগুলোও তাৎক্ষণিকভাবে সরানো যায়নি। পরিবারের সদস্যরা এখনো সাপ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক নিরূপম দাশ প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার পরপরই কুলছুম আক্তারকে সাপের বিষের প্রতিষেধক দেওয়া হয়। তিনি এরই মধ্যে আশঙ্কামুক্ত। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে এক-দুই দিন হাসপাতালে থাকতে হবে।

এর আগে গত সোমবার জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চর কিং ইউনিয়নের উত্তর দোয়ালিয়া গ্রামের বালাবাড়ির মিনতি রানী দাশ (৪৫) নামের এক নারী বিষধর সাপের ছোবলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নেন।