ঢাকা ও আশপাশের যে ৫ স্থানে আজ বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি
আজ সোমবার সকালে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে সকাল সাড় ৯টার দিকে ঢাকার স্কোর ১৮৬। বায়ুর এ মান অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়। গতকাল রোববার বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১৯ শহরের মধ্যে সপ্তম স্থান নিয়ে ঢাকার স্কোর ছিল ১৬০।
আজ ঢাকার গড় স্কোর ১৮৬ হলেও নগর ও এর আশপাশের কিছু এলাকায় দূষণের পরিমাণ অনেক বেশি। বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচটি স্থানের মধ্যে আছে বুয়েট সেন্ট্রাল রোড (স্কোর ২৭৯), সাভারের হেমায়েতপুর (২৫৩), ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (২৫০), গুলশান বাড্ডা লেক (২২৮) এবং আগাখান একাডেমি (১৯৯)।
বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক আইকিউএয়ারের সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
ঢাকার বায়ুদূষণের স্থানীয় উৎসগুলোর মধ্যে আছে যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া, নির্মাণকাজের দূষণ, আশপাশের ইটভাটার ধোঁয়া ইত্যাদি।
আজ সকালে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ২৩৩ ও ২৩০।
আইকিউএয়ারের দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ২৪ গুণের বেশি।
ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বাসার বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরের জানালা বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা মানুষেরা। তাঁদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।