সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত শেষ করার আহ্বান সিপিজের
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত শেষ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন সিপিজে আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক সংগঠন সিপিজের এশিয়া শাখার ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ১২ বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল রোববার।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কর্তৃপক্ষ ১০০ বারের বেশি ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করে সিপিজে। সংগঠনটি বলেছে, সাগর-রুনি হত্যার সরকারি তদন্তে গুরুতর অনিয়ম নিয়ে সিপিজে উদ্বিগ্ন।
সিপিজের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা এই হত্যা মামলার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত শেষ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। তদন্তের ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ করার জন্যও তারা আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। সাগর সে সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। এত বছরেও বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন রুনির ভাই নওশের আলম। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে এ মামলার তদন্ত করছে র্যাব। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত আদালতে জমা দেওয়ার তারিখ ১০৫ বার পিছিয়েছে।