বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবিনার
‘অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের পথে: বঙ্গোপসাগর ঘিরে এর ভিশন, তাৎপর্য এবং বাস্তব দিকসমূহ’ শিরোনামে জাপানের অধ্যাপক তাকাহারা আকিওর অনলাইন বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি) ও বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাস যৌথভাবে এ বক্তৃতার আয়োজন করে।
তাকাহারা আকিও টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও রাজনীতি অনুষদের শিক্ষক। তিনি বলেন, মানবনিরাপত্তা, অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল (এফওআইপি) উৎসাহিত করতে জাপান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আকিও টোকিও আরও বলেন, এফওআইপির লক্ষ্য হলো পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়া, এমনকি আফ্রিকা পর্যন্ত স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রসারিত করা। এ সময় তিনি এফওআইপির প্রধান তিনটি স্তম্ভের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এগুলো হলো, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি; আইনের শাসনের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা, সামুদ্রিক চলাচলের স্বাধীনতা ও মুক্ত বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। ওয়েবিনারে অন্যতম আলোচক ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সোশিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জসীম উদ্দিন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিকুল ইসলাম ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন। শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো সম্প্রতি বঙ্গোপসাগর নিয়ে যে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তিনি সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সফলভাবে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এসআইপিজির পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সোশিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তৌফিক এম হক ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় শিক্ষাবিদ, গুণীজন, সমুদ্র অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক, জাপানি প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।