ডিসি নিয়োগে ‘ঘুষের’ অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন, তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেনছবি: পিআইডি

জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা ও বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ বৃহস্পতিবার একটি দৈনিকে ‘আমার 5C হলেই চলবে, স্যার 10C রাখব’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং একই মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনে ঘুষের বিষয়টি এসেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, প্রতিবেদনের সত্যতা কতুটুকু, সেটা খতিয়ে দেখা হবে। যে বিষয়টি এসেছে তা–ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হবে; সেখানে কিছু জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককেও যুক্ত করতে চাচ্ছেন। এই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রেস সচিব জানান, এর আগে একই পত্রিকায় প্রকাশিত ‘তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন!’ শিরোনামের প্রতিবেদনের বিষয়ে তদন্ত করে দেখা গেছে, ওই প্রতিবেদনটি ঠিক ছিল না।

বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এর চেয়ে সুবর্ণ সময় আসেনি দাবি করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সবাই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করবেন। যে সাংবাদিকতা দেশকে এগিয়ে নেয় এবং যে সাংবাদিকতা আমাদেরও জবাবদিহি করে।’

এদিকে দুপুরের পর সচিবালয়ে এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ সাংবাদিকদের বলেন, উপদেষ্টাদের দিয়ে কমিটি করে তারা সেটি দেখবে। আইন উপদেষ্টা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কমিটিতে থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মানে এই নয় যে অন্যরাও এতে যুক্ত হতে পারবেন না।