ভিকারুননিসা নূন স্কুল: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে ভর, সমস্যা নিয়ে চলছে দুই দশক
দুই দশক ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ওপর ভর করে চলছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ সময়ে ১৭ জন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন রাজধানীর অন্যতম নামকরা এই বিদ্যাপীঠে। তাঁদের মধ্যে ১২ জনই ভারপ্রাপ্ত (একই ব্যক্তি একাধিকবারও দায়িত্ব পালন করেন)। দুজন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার থেকে এলেও দুজনই বিতর্ক মাথায় নিয়ে গেছেন। তাঁদের একজনের ‘বালিশের নিচে পিস্তল নিয়ে ঘুমানোর’ ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। আর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
নিয়মিত অধ্যক্ষ না থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি মাঝেমধ্যেই অসুবিধায় পড়ছে। বিভিন্ন সময়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও উঠছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে এসব অভিযোগের প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে। তবে কারও শাস্তির কথা এ পর্যন্ত শোনা যায়নি।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার কমিটির কোনো কোনো সদস্য ও কোনো কোনো অধ্যক্ষের হাত ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের অনিয়মের ঘটনা ঘটছে। সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, আইনজীবী, রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ পরিচালনা কমিটিতে ঢুকতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন। জোর আলোচনা আছে, নানা রকমের সুবিধার জন্যই মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটিতে ঢুকতে অনেকেই মরিয়া হয়ে ওঠেন। একসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতেন। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশের কারণে এখন সংসদ সদস্যরা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারেন না। কয়েক বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনাররা।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিয়মিত পরিচালনা কমিটির সদস্য ১১ হলেও মূলত পাঁচ অভিভাবক সদস্য (নারীর জন্য সংরক্ষিত একটি) এবং তিনটি শিক্ষক প্রতিনিধি (নারী শিক্ষকের জন্য সংরক্ষিত একটি) পদে নির্বাচন হয়।
সর্বশেষ গত জুলাই মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন সময়ে হওয়া অনিয়মের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, তদন্ত দলের কাছে মনে হয়েছে, এখানে পরিচালনা কমিটি, অধ্যক্ষসহ শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে দূরত্ব বিরাজমান এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। ফলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকায় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কেউ কেউ কখনো কখনো অধ্যক্ষের ওপর নানামুখী চাপ প্রয়োগ করেন। এমনকি কখনো কখনো সরিয়ে দেওয়ার পরোক্ষ ইঙ্গিত দেওয়াও হয়। তিনি আরও বলেন, নিয়মিত অধ্যক্ষ না থাকায় স্বাভাবিক কাজকর্মও বিঘ্নিত হয়।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের তালিকা দীর্ঘ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ১৯৮১ সালের জুন থেকে ২০০২ সালের জুলাই পর্যন্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন হামিদা আলী। তাঁর এ মেয়াদকালকেই অন্যতম ‘সেরা সময়’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে তাঁর অবসরে যাওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে সমস্যা শুরু হয়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের তালিকা দীর্ঘ হতে থাকে। পাশাপাশি উঠতে থাকে নানা ধরনের অনিয়ম, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা বাড়তে থাকে।
হামিদা আলী অবসরে যাওয়ার পর ২০০২ সালের জুলাই মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক রোয়েনা হোসেন। তিনি ২০০৪ সালের জুন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি নিয়মিত অধ্যক্ষ হিসেবে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাহমিনা খানম কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে নিয়মিত অধ্যক্ষ হন। দেড় বছর পর তিনি বিদায় নেওয়ার পর ২০০৮ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১২ জন অধ্যক্ষের দায়িত্বে পালন করেন। এর মধ্যে দুজন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা ও একজন নিয়মিত অধ্যক্ষ। বাকি সবাই ভারপ্রাপ্ত। গত ৫ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন কেকা রায় চৌধুরী, তিনিও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে অনিয়ম করে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের মধ্যে সাড়ে ৩ পাওয়া একজনকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের চেষ্টা করে তৎকালীন পরিচালনা কমিটি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা বাতিল করে দেয়। তখন কলেজের বাইরে থেকে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা অধ্যাপক ফওজিয়াকে প্রেষণে নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের অনেকেরই আপত্তি ছিল। প্রথম দিকে অধ্যাপক ফওজিয়া ভালোভাবে চালালেও একপর্যায়ে তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এরপর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর শিক্ষা ক্যাডারের আরেক কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু তাঁর ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনা হয়। কামরুন নাহারের সঙ্গে যাঁর ফোনালাপ ফাঁস হয়, তিনি অভিভাবক ফোরাম নামের একটি সংগঠনের উপদেষ্টা ছিলেন। ফোনালাপে অনেক অশালীন কথা এবং ‘বালিশের নিচে পিস্তল রেখে’ কামরুন নাহারের ঘুমানোর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এমন একজনের হাতে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব থাকা কতটা সমীচীন, ওঠে সে প্রশ্নও। যদিও কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হয়নি। চাকরির স্বাভাবিক মেয়াদ শেষ করে গত এপ্রিল মাসে অবসরে গেছেন তিনি।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক দিয়ে ভালোভাবে চলতে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে এ অবস্থায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই চলতে দেওয়া উচিত নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়মিত অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া উচিত।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীকে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নিয়মিত অধ্যক্ষ থাকলে অবশ্যই বেশি ভালো হতো। কাজের স্বাধীনতা বেশি থাকত, ক্ষমতাও বেশি থাকত। তবে তিনি কাজ করছেন, ভালো করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ
শুধু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের সমস্যাই নয়, ভর্তিসহ বিভিন্ন সময়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘিরে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) করা তদন্তের তথ্য বলছে, ভর্তির নীতিমালা লঙ্ঘন করে ২০১৯ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ৪৪৩ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছিল। এ জন্য তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। এখন অবশ্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ঘিরে ভর্তি নিয়ে আগের মতো ব্যাপক অভিযোগ আর নেই।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) গত জুলাই মাসের এক তদন্ত প্রতিবেদনে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
এর আগে একই প্রতিষ্ঠানের আরেক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের তারাবোর একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ জোড়া হাই বেঞ্চ কেনার জন্য অতিরিক্ত ৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনিয়মের এ টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা দিতে বলা হয়।
এ ছাড়া তারাবোর ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা কলেজ শাখার জন্য ১২০ জোড়া ও ইংরেজি ভার্সনে ৭০ জোড়া বেঞ্চ কেনা হয়। এ জন্য ব্যয় হয় মোট ১১ লাখ ১৬ হাজার টাকা। তবে এ ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি। আবার বেইলি রোড শাখায় ১ কোটি ৭১ লাখ টাকার সংস্কারকাজ করা হয় দরপত্র ছাড়া। এই বিল পরিশোধে অস্পষ্টতা উল্লেখ করে ডিআইএর কমিটি একে বিধিসম্মত নয় বলেছে।
এ ছাড়া ভিকারুননিসার সাম্প্রতিক নিজস্ব এক হিসাব প্রতিবেদনে, কলেজের ফটক মেরামত, সৌন্দর্যবর্ধনসহ বিভিন্ন সংস্কার ও উন্নয়নে অনিয়মের তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল।
এর আগে ডিআইএর আরেক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরিচালনা কমিটির সদস্য, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-কর্মচারীরা মোট প্রায় ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা সম্মানী হিসেবে নিয়েছেন। কিন্তু এ টাকার বিপরীতে ২ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা উৎসে কর বাবদ পরিশোধ করা হয়নি। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ওই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল।
ডিআইএর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সরকারের বিধিবিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
ভিকারুননিসার সাবেক এক অধ্যক্ষ প্রথম আলোকে বলেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে মাঝেমধ্যেই যেসব কথা শোনা যায়, তাতে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ধরে রাখাই কঠিন। এ অবস্থা থেকে বের হতে নতুন উদ্যোগ নিয়ে সব ঢেলে সাজাতে হবে।
‘সীমা ঠিক করে দেওয়া দরকার’
রাজধানীর বেইলি রোডে ১৯৫২ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা হওয়ার পর এটি বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত হয়। ১৯৭৮ সালে স্কুলটি মাধ্যমিক পর্যায় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। বর্তমানে ভিকারুননিসার বেইলি রোডের মূল ক্যাম্পাস ছাড়াও বসুন্ধরা, আজিমপুর ও ধানমন্ডি শাখায় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির মোট ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার।
সর্বশেষ গত জুলাই মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিআইএর এক তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন সময়ে হওয়া অনিয়মের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, তদন্ত দলের কাছে মনে হয়েছে এখানে পরিচালনা কমিটি, অধ্যক্ষসহ শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে দূরত্ব বিরাজমান এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। ফলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক দিয়ে ভালোভাবে চলতে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে এ অবস্থায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই চলতে দেওয়া উচিত নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়মিত অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া উচিত।
তপন কুমার সরকার বলেন, অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয় মূলত পরিচালনা কমিটি। তবে একটি অসুবিধা হলো ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কত দিন থাকতে পারবেন, তার সীমা নেই। এ সুযোগই নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে সীমা ঠিক করে দেওয়া দরকার।