ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম) ৩৮তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ৬০০ জনের বেশি বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসা পেশাজীবী ও শিক্ষার্থী। সম্মেলনে মাইক্রোবায়োলজি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ থেকে ৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের ১০টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেন। দুই দিনের এই কনফারেন্সে ১৫টি সেশন এবং ১১টি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) এম আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এবং সহ–উপাচার্য সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। বিএসএমের পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এবং বিএসএমের সভাপতি মুনিরুল আলম এবং বিএসএমের সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ম্যাথমেটিকস অ্যান্ড ন্যাচারাল সায়েন্সেসের সহকারী অধ্যাপক নাদিয়া সুলতানা দীন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ম্যাথমেটিকস অ্যান্ড ন্যাচারাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক এম মাহবুব হোসেন। বিএসএমের সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম বিএসএমের কার্যক্রম এবং সম্মেলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম আমিনুল ইসলাম মাইক্রোবায়োলজিক্যাল গবেষণায় উদ্ভাবন ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ ধরনের গবেষণার ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশে মাইক্রোবায়োলজি শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে বিএসএমের অবদানের প্রশংসা করেন।
উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার তাঁর বক্তব্যে জ্ঞানের বিকাশে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সেই সঙ্গে তিনি বিশ্বব্যাপী নৈতিক মানদণ্ডের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাইক্রোবায়োলজির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অধ্যাপক জিয়াউদ্দিন আহমেদকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের ফেলো।