চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ছাত্রলীগের চবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু মুন্সিকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর দ্রুত বিচার চেয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি তোলা হয়েছে।
ওই বিবৃতি আইইবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে সই করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এস এম মঞ্জুরুল হক।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজু মুন্সি নামের এক ‘সন্ত্রাসীর’ নেতৃত্বে বেআইনিভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজলকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রকাশিত খবর দেখে আইইবি এ ঘটনা জানতে পেরেছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একজন প্রকৌশলীকে লাঞ্ছনা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। চবির এ ঘটনা সারা দেশে প্রকৌশলীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
আইইবি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
ঠিকাদারদের কাছ থেকে ছাত্রলীগ নেতা রাজু মুন্সির চাঁদা আদায়ের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নালিশ করেছিলেন সৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল। এ জন্য গত সোমবার তাঁকে ক্যাম্পাসের কাটা পাহাড় এলাকায় মারধর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ আবদুর রাজ্জাককেও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে রাজুর বিরুদ্ধে।
এসব ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে তিন ঘণ্টা অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজু মুন্সিকে আসামি করে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচার চেয়ে চিঠি দিয়েছে ছাত্রলীগ। গতকাল বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে দেওয়া এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়। বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ছাত্রলীগ।