কাজের জন্য নিজেকে ১০–এর মধ্যে ৪ দেবেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে আইন মন্ত্রণালয়ের বিগত ১০০ দিনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়েছবি: প্রথম আলো

কাজের জন্য ১০–এর মধ্যে খুব বেশি হলে নিজেকে ৪ নম্বর দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, তাঁর অভিজ্ঞতার হয়তো ঘাটতি আছে বা যোগ্যতারও হয়তো ঘাটতি আছে। কিন্তু বারবার একটা কথা বলেন, সেটা হলো, তাঁর প্রচেষ্টার ঘাটতি নেই।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আইন মন্ত্রণালয়ের বিগত ১০০ দিনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এত দিনে (সরকারের ১০০ দিন) কোন কাজটি করতে পারেননি বলে মনে করেন? জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল হাসতে হাসতে বলেন, ‘যা যা করেছি, তার বাইরে কিছুই করতে পারিনি।’

আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আপনার কোনো অতৃপ্তির জায়গা আছে কি না?’ জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁর অতৃপ্তির অনেক জায়গা আছে।

এ সময় আমলাতান্ত্রিক জটিলতার একটি ছোট উদাহরণ টেনে আসিফ নজরুল বলেন, তাঁর দপ্তরে একবার দুই উপদেষ্টা আসেন। তিনি তাঁদের বলেন, পূর্ণিমা দোকানের (গুলিস্তান এলাকায় অবস্থিত) জিলাপি ও শিঙাড়া খুব মজার। সেগুলো খাবেন কি না। তাঁরা বললেন, খাবেন। এরপর তা আনতে দিলেন। সেগুলো আনতে এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিট সময় লাগল। আসলে সময় লাগার কথা ১৫ মিনিট। তখন তিনি খতিয়ে দেখলেন, কেন এত সময় লাগল।

উপদেষ্টা বলেন, ‘দেখা গেল, আমি ওনাকে বলেছি, উনি ওনাকে বলেছেন। পঞ্চম ব্যক্তি যখন আনতে গেছেন, তখন উনি জানেনও না যে এটি জরুরি বা আইন উপদেষ্টা এটা চাচ্ছেন। উনি ওনার ইচ্ছেমতো এনেছেন। এটা একটা উদাহরণ নয়। এটা হচ্ছে, কীভাবে আমাদের প্রশাসন চলছে।’

আরও পড়ুন

তবে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনেক কাজ করেন বলেও উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।

নিজের কর্মমূল্যায়ন নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি কোনো দিনও সন্তুষ্ট নই আমার কাজে। আমি একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। যখন রাতে একা থাকি, তখন সব সময় দোয়া করি আল্লাহর কাছে, আমাকে যে সুযোগ দিয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, আমি যেন সততা নিয়ে আরও কাজ করতে পারি। আমি বলি, আল্লাহ আমার জন্য কাজটা সহজ করে দাও। আরও যেন কাজ করতে পারি।’