মোবাইলে বিজয় কি–বোর্ড ব্যবহারের নির্দেশ জনগণের তথ্য হাতিয়ে নিতে: মান্না
আমদানি করা ও স্থানীয়ভাবে তৈরি সব অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি মনে করেন, জনগণের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমান এ প্রতিবাদ জানান। সব অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোনে বিজয় কি–বোর্ড ব্যবহারের বিষয়ে দেশের মুঠোফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে গত শুক্রবার চিঠি দেয় বিটিআরসি।
মাহমুদুর রহমান বলেন, বিজয় কি-বোর্ডের মালিক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের ওপর এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক ও বেআইনি। মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘তিনি (মোস্তাফা জব্বার) সরকারের কাছে কত টাকায় এটা বিক্রি করেছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি।’
বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহার না করলেও ইনস্টল করলেই ম্যালওয়্যার প্রবেশ করবে বলে আশঙ্কা মাহমুদুর রহমানের। তিনি বলেন, এতে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের গোপন নম্বর, এমনকি ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ও ক্রেডিট কার্ডের নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে সরকারের হাতে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার নজরদারির প্রযুক্তি কিনছে। সরকার বিজয়ের সঙ্গে ম্যালওয়্যার (ক্ষতিকারক সফটওয়্যার) ঢুকিয়ে মোবাইল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারে। এভাবে তারা সব ব্যবহারকারীর ওপর নজরদারি করতে পারবে।
বিজয় কি–বোর্ড ব্যবহার না করলেও ইনস্টল করলেই ম্যালওয়্যার প্রবেশ করবে বলে আশঙ্কা মাহমুদুর রহমানের। তিনি বলেন, এতে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের গোপন নম্বর, এমনকি ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ও ক্রেডিট কার্ডের নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে সরকারের হাতে।
নির্বাচন সামনে রেখে এক বছর আগে সরকারবিরোধীদের তথ্য হাতিয়ে নিতেই বিজয় ইনস্টল করার নির্দেশ জারি করেছে বলে অভিযোগ করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি। তিনি বলেন, এটি জনগণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। অবিলম্বে বিটিআরসির বিজয় ইনস্টলের নির্দেশনা বাতিল করার দাবি জানান তিনি।